কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে ৩৪ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের এক জোড়া কোরাল মাছ ধরা পড়েছে জেলের বড়শিতে। এর মধ্যে বড় কোরাল মাছটির ওজন ২২ কেজি, ছোটটি ১২ কেজি। মাছ দুটির দাম হাঁকা হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। শনিবার (৯ আগস্ট ) বিকেলে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার জেলে নুর মোহাম্মদ এর বড়শিতে মাছ দুটি ধরা পড়ে। পরে তিনি মাছ দুটি টেকনাফ পৌরসভার মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলমের কাছে কেজি ১২শ’ টাকা দরে ৪১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
জেলে নুর মোহাম্মদ জানান, শাহ পরীর দ্বীপ ঘোলার চর এলাকায় নাফনদীর মোহন সকাল থেকে বড়শি ফেলেন তিনি। প্রায় তিন ঘণ্টা পর তিনি বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড়শি বেশ ভারী মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা নেন। পরে বড়শি টেনে তুলে দেখেন, একটি কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। এরপর তিনি আবারও বড়শি ফেলেন। তিনবার বিফল হন। চতুর্থবারে আরও একটি বড় কোরাল মাছ আটকা পড়ে। সেটির ওজন ছিল প্রায় ২২ কেজি।
মাছ ব্যবসায়ী আজগর আলী বলেন, ইদানীং নাফ নদীতে জেলেদের বড়শিতে বড় বড় কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। শাহ পরীর দ্বীপের স্থানীয় জেলে নুর মোহাম্মদ এর কাছ থেকে ৩৪ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের কোরাল মাছ দুটি ৪০ হাজার টাকায় কিনেছি। চট্টগ্রামে নাফ নদীর দেশী বড় কোরালের বেশি চাহিদা ও দাম রয়েছে। বেশি দামে বিক্রি জন্য বরফ দিয়ে ফ্রিজিং করে মাছ দুটি চট্টগ্রাম ফিশারিঘাটে পাঠানো হয় বিক্রির জন্য।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাফ নদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। এই মাছ গুলো সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ ছিল। এই ছাড়াও প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে। নাফ নদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। আজও দুইটি কোরাল মাছ পেয়েছে, মাছ দুটির ওজন ৩৪ কেজির বেশি।
আজকালের খবর/ এমকে