প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪১ পিএম

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আমিনুল হকের দুর্নীতি, দুঃশাসন, নারী কেলেঙ্কারি, শিক্ষক-অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণসহ নানান অনিয়মের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (মাউশি) ময়মনসিংহ অঞ্চলের দুই সদস্য তদন্ত শুরু করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজটির সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসান ও সহকারী পরিচালক (কলেজ) মোঃ মোজাম্মেল হক।
পরে কমিটির প্রধান পরিচালক সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে লিখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিদর্শনে এসেছি। এখানে এসে ভুক্তভোগী সিনিয়র শিক্ষকগণ-কর্মচারী-গর্ভনিং বডির সদস্য-ভূক্তভোগীদের বক্তব্য শুনেছি। অধ্যক্ষ আমিনুল হকের বক্তব্য ও শুনেছি। এসব বক্তব্য বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন মাউশিতে জমা দিব। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে পক্ষে লিখিত অভিযোগকারী সিনিয়র প্রভাষক চম্পা রাণী সরকার, প্রভাষক খায়রুজ্জামান মনি, গর্ভনিং বডি সদস্য, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তফা জামিল স্বপন, সম্পাদক বাবুল মিয়া, অভিভাবক সদস্যসহ সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চেয়ারম্যান বরাবর একই কলেজের সিনিয়র প্রভাষক চম্পা রাণী সরকারসহ ৩৬ জন প্রভাষক-কর্মচারী লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ থেকে জানা যায়, অধ্যক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবক-সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার স্বেচ্ছাচারিতা, নারী কেলেঙ্কারি এবং বর্তমান গর্ভনিং বডির কমিটির যোগসাজশে ফান্ডের টাকার বিভিন্ন অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন।
সেসব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে গত ১৪ মে সিনিয়র প্রভাষক চম্পা রাণী সরকার গং মাউশিতে লিখিত অভিযোগ করেন। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিষয়ে কলেজ গর্ভনিং বডির নিকট লিখিত অভিযোগ জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্বে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। সব চক্রান্ত। বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারবেন।
আজকালের খবর/ এমকে