প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানকে মারধর করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় বল্লী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইসলাম কবিরাজকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১১ টার দিকে বল্লী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর পরে সোমবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তারা শিক্ষক শফিকুর রহমান কে ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার উপর হামলা, মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িত বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান ।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, শিক্ষক শফিকুর রহমান লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং -৩৬ মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সোমবার রাতে বল্লী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত: শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট শিক্ষক শফিকুর রহমান অবস্থান করেন বলে অভিযোগ করেন ঐ হামলা কারিরা। পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্যসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানকে মারধর করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।
শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশ ব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে ।
আজকালের খবর/বিএস