
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজারের টেকনাফে অনুষ্ঠিত হয়েছে যুব নেতৃত্বে নির্বাচনী সংলাপ তারুণ্যের স্বপ্ন, আমাদের ইশতেহার, আমাদের ভবিষ্যৎ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) টেকনাফের হোটেল নে-টংয়ে আয়োজিত এই সংলাপের আয়োজন করে সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড)।
অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল একশনএইড বাংলাদেশ। সংলাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল তৃণমূল জনগণ ও তরুণদের মতামতের ভিত্তিতে একটি জনগণকেন্দ্রিক নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করা।
অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বিএনপি থেকে কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আবদুল্লাহ'সহ স্থানীয় শিক্ষক, নারী প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজের নেতৃবৃন্দ। তরুণদের পক্ষ থেকে ইশতেহারভিত্তিক প্রস্তবনা উপস্থাপন করেন টেকনাফ ইউথ হাবের সভাপতি মো. সোহেল ও সদস্য আয়শা আক্তার রিফা।
অনুষ্টানে তরুণদের উপস্থাপিত প্রস্তাবনায় উঠে আসে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মাদক প্রতিরোধ, অপহরণ রোধ ও নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, টেকনাফ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, শাহপরীরদ্বীপে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং রোহিঙ্গা সমস্যার মানবিক ও টেকসই সমাধান।
এ সময় শেডের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল মান্নান ও প্রকল্প সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, এই কর্মসূচির লক্ষ্য তৃণমূল জনগণের কণ্ঠস্বরকে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া।
বক্তব্যে কক্সবাজার-৪ আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী-জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ , তরুণ নেতৃত্বে এমন সংলাপ গণতন্ত্র ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি আরও শক্তিশালী করবে। উখিয়া-টেকনাফ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হলেও বেকারত্ব, মাদক, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও পরিবেশ ঝুঁকির কারণে এ অঞ্চল পিছিয়ে আছে। তাই একটি সুন্দর পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই এই অঞ্চলকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব। এছাড়া তিনি উন্নয়নের জন্য পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তরুণ ও কর্মসংস্থান: কারিগরি প্রশিক্ষণ, আইটি ইনস্টিটিউট, উদ্যোক্তা সহায়তা এবং পর্যটন, কৃষি ও মৎস্যভিত্তিক খাতে সহজ ঋণ ও প্রশিক্ষণ সুবিধা। পর্যটন উন্নয়ন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন করিডোরকে আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যে রূপ দেওয়া এবং মেরিন ড্রাইভকে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে হিসেবে গড়ে তোলা।
পরিবেশ ও জলবায়ু উপকূলীয় বন, পাহাড় ও সমুদ্রতট সংরক্ষণে স্থানীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা চালু করা। প্রযুক্তি ও শিক্ষা: প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্মার্ট স্কুল, ডিজিটাল ল্যাব ও অনলাইন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং ও ইকমার্সে যুক্ত করা। সুশাসন ও নাগরিক অংশগ্রহণ স্থানীয় নীতিনির্ধারণে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন বাজেট প্রণয়ন করা।
আবদুল্লাহ আরও বলেন, এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে পাহাড়, নদী-সমুদ্র ঘেরা উখিয়া-টেকনাফ হবে দক্ষিণাঞ্চলের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রোল মডেল। তরুণরাই আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক ও পরিবর্তনের কারিগর। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানের অতিথিরা অ্যাকটিভিস্টা টেকনাফ টিম, শেড এ-ফো-টি প্রকল্প এবং একশনএইড বাংলাদেশ-এর এমন সময়োপযোগী উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে এ সংলাপের প্রস্তবনাগুলো অন্তর্ভুক্ত করার আশা ব্যক্ত করেন।
আজকালের খবর/ওআর