চলে গেলেন পেশাদার রেসলিং দুনিয়ার অন্যতম বড় নাম হাল্ক হোগান। বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউডব্লিউই তারকা। খবরটি নিশ্চিত করেছে ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডব্লুডব্লিউই)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তার প্রকৃত নাম টেরি বোলিয়া। তবে হাল্ক হোগান নামেই বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেন এই রেসলার। বৃহস্পতিবার হার্ট অ্যাটাক হলে তার পরিবারের লোকেরা ৯১১ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান। জরুরি পরিষেবাও হোগানের প্রাণ বাঁচাতে পারেনি।
গত মাস থেকে অসুস্থ ছিলেন হোগান। বেশ কয়েকবার তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, অস্ত্রোপচারের পর থেকে কোমায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু হোগানের স্ত্রী সেই খবর গুজব বলে উড়িয়ে দেন। তার পরেই তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
ডব্লিউডব্লিউইকে জনপ্রিয় করার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল হোগানের। ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে পেশাদার কুস্তিতে সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন তিনি। হোগানের চওড়া গোঁফ ও পেশিবহুল শরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতো ভক্তদের।
প্রথম নয়বারের রেসলমেনিয়াতে আটবারই তিন ছিলেন প্রধান আকর্ষণ। ছয়বারের ডব্লিউডব্লিউই চ্যাম্পিয়ন হোগান তার বাচনভঙ্গির জন্যও জনপ্রিয় ছিলেন।
পেশাদার কুস্তির পাশাপাশি হলিউডের ছবিতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। তখন হোগান নিজের নামের সঙ্গে ‘হলিউড’ কথাটা জুড়ে দেন। অর্থাৎ, তাকে ডাকা হত হলিউড হাল্ক হোগান।
তার মাঝেই ১৯৯৬ সালে ডব্লিউডব্লিউই ছেড়ে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার নামের নতুন পেশাদার কুস্তি শুরু করেন তিনি। ফলে ডব্লিউডব্লিউই-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যান হোগান। তার পরেও ২০০৫ সালে তাকে ডব্লিউডব্লিউই ‘হল অফ ফেম’ দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে হোগানের একটা ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রকাশ পাওয়ায় তার হল অফ ফেম কেড়ে নেওয়া হয়। যে সংস্থা তার ভিডিও প্রকাশ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন হোগান। তিনি মামলা জেতেন।ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে সেই সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যায়। পরে ২০২০ সালে আবার হোগানকে হল অফ ফেম দেয় ডব্লিউডব্লিউই। সারা জীবন বিতর্ক সঙ্গী থেকেছে হোগানের। আমেরিকার নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন হোগান। ট্রাম্পের সমর্থনে বেশ কয়েকটা সভাও করেছিলেন তিনি।
আজকালের খবর/ এমকে