প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের জয় ও দ্বিতীয়টিতে ৮ রানের জয়ের পরে আজ সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুরে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এই ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারলেই পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করবে টাইগার বাহিনী। সে লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামছে লিটন কুমার দাসের দল। অন্যদিকে পাকিস্তানও মরিয়া যেভাবেই হোক এই ম্যাচে জয় তুলে নিতে। তাতে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আরেকটি রোমাঞ্চের অপেক্ষায় দর্শকরা।
এর আগে লাহোরে পাকিস্তান-বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটিতেই হেরেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও সিরিজ হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে লঙ্কায় গিয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লিটন দাসের দল।
লায়নদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পরে মিরপুরেও সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে টাইগার বাহিনীর। আজ জয় তুলে নিতে পারলে ধবলধোলাইয়েরও অভিজ্ঞতা হবে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করেছিল বাংলাদেশ। এরপরে বা তার আগে কখনো একাধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবার জয় পেলে প্রথম বার টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করবে টাইগার বাহিনী।
এ দিকে এই সিরিজ ছাপিয়ে মিরপুরের উইকেটের আচরণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পারদ তুঙ্গে উঠেছে। সবশেষ বিপিএলে এই মিরপুরেই রানপ্রসবা উইকেট পেলেও এই সিরিজে সেটি না পেয়ে আক্ষেপ করেছেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ। প্রথম ম্যাচে শেষে একই কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দলটির অধিনায়ক সালমান আগা ও কোচ মাইক হেসন। যেখানে হেসন প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়েও। এই সিরিজকে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হিসেবে সামনে এনেছিল বিসিবি ও পিসিবি। বৈশ্বিক ঐ আসরটি হওয়ার কথা রয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। যেখানে রানপ্রসবা উইকেট পাওয়া যাবে বলে বাংলাদেশের পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমও জানিয়েছিলেন। ঠিক এই জায়গায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন মাইক হেসন। এই সিরিজ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হলে এমন স্বল্পরানের উইকেটে খেলা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
আজ মিরপুরে প্রায় একই ধরনের উইকেটে খেলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। শোয়েব আখতার, রমিজ রাজা, বাসিত আলিরা মিরপুরের উইকেটের পক্ষেই কথা বলেছেন, সেটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।
আজকালের খবর/ এমকে