প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:২২ পিএম

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে কুমিল্লা দেবীদ্বারে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা: আ:) হুজুর এর অনুমতিক্রমে আশেকে রাসূল (সা.) মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চাপানগর শাহজাহান হাজারী মঞ্জিলে এই মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হচ্ছে সৃষ্টিকুলের সবচেয়ে বড় ঈদ। প্রকৃতপক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শুধুমাত্র মুসলিম জাতির জন্য নয়, বরং সমগ্র সৃষ্টির তথা কুল কায়েনাতের জন্য আনন্দের দিন। হযরত রাসুল (সা.)-এর শুভজন্ম এবং ওফাত একই তারিখে নয়। বক্তারা বলেন- হযরত রাসুল (সা.) বিদায় হজের ৮১ দিন পর ওফাত লাভ করেন। সেই দিনটি ছিল ১ রবিউল আউয়াল। হযরত রাসুল (সা.) ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার জন্মগ্রহণ করেন, আবার ৬৩ বছর পর ১ রবিউল আউয়াল সোমবার ওফাত লাভ করেন। কিন্তু সমাজে প্রচলিত আছে হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস একই তারিখে হয়েছে। ফলে হযরত রাসুল (সা.)-এর শুভ জন্মদিন অবারিত রহমত ও বরকত হওয়া সত্ত্বেও মুসলিম জাহান ওই দিবসে আনন্দ করতে না পেরে রহমত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।'হযরত রাসূল (সা.)- এর শুভ জন্মদিনে যারা খুশি হোন মহান আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেন। সবাইকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে আনন্দোৎসব করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী গবেষক, ভাইস প্রিন্সিপাল, ড. আব্দুল মান্নান মিয়া, গবেষক, কদর রিচার্জ অ্যান্ড পাবলিকেন্স; সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, পিইউবি ড. নাছিরউদ্দীন সোহেল, কুমিল্লা জেলার সমন্বয়ক মো: ইমাম হোসেন, সাংবাদিক আহমেদ হোসেন প্রমুখ। প্রধান বক্তা হযরতুল আল্লাম সাব্বির আহমেদ ওসমানী তার মূল্যবান ভাষণ দিয়ে বিশ্ববাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আজকালের খবর/বিএস