প্রকাশ: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩২ পিএম

বাংলার লোকজ সংস্কৃতিতে ঢোল এক অবিচ্ছেদ্য বাদ্যযন্ত্র। আর এই ঢোলেই মানুষের হৃদয় জয় করে চলেছেন বরিশালের ওয়াজিরপুরের গর্ব, ঢোলবাদক কামাল। ১৯৮০ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন তিনি মো. আলী ও আফিয়া বেগমের ঘরে।
ঢোলের প্রতি ভালোবাসা তার রক্তে বহমান। শৈশবেই তার পিতা, খ্যাতিমান ঢোলবাদক মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকেই তার হাতেখড়ি। বাবাই ছিলেন তার প্রথম ও প্রধান ওস্তাদ। পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় কামাল নিজেকে গড়ে তুলেছেন এক দক্ষ ও হৃদয়গ্রাহী ঢোলবাদক হিসেবে।
ঢোলবাদক কামাল তার জীবনে বহু মেলা, কীর্তন, মাহফিল, গ্রামীণ ও শহুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। তার বাদনে আছে আত্মার ছোঁয়া, যা শ্রোতাদের নাচিয়ে তোলে, হাসায়, আবেগে ভাসায়।
তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে পারফর্ম করেছেন। ঘঞঠ, এষড়নধষ ঞঠ, গানবাংলা চ্যানেল, তকিনি টিভি।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তার পারফরমেন্সের জন্য সম্মাননা ও প্রশংসা অর্জন করেন।
ঢোলবাদক কামালের অ্যালবামগুলো লোকসংগীতপ্রেমীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার উল্লেখযোগ্য অ্যালবাম: পহেলা বৈশাখ, তালে তালে নাচ, তাকধুম তাক ধুম, মেলায় যাইরে।
প্রতিটি অ্যালবামেই তিনি লোকজ ঢঙে উৎসব, আনন্দ, ও বাঙালির ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন তার ঢোলের তালে। তিনি শতাধিক বাউল শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন-তাদের গানকে প্রাণ দিয়েছেন নিজের তাল ও ছন্দের মাধ্যমে। বেতার ও টেলিভিশনে নিয়মিত পারফর্ম করে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের অন্যতম সেরা ঢোলবাদক হিসেবে।
ঢোলবাদক কামাল আজ শুধু একজন বাদ্যযন্ত্র শিল্পী নন, বরং তিনি বাঙালির আত্মার সঙ্গে মিশে থাকা সুরের এক নিঃশব্দ বাহক। তার সৃষ্টিশীলতা, নিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
আজকালের খবর/ এমকে