প্রকাশ: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম

বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক সংগীত জগতের এক অনন্য নাম পাগল মনির। তিনি একাধারে মরমী, মুর্শিদী, বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের এক শক্তিশালী কণ্ঠ। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি তার গভীর অনুরাগ ছিল, মাত্র পাঁচ-ছয় বছর বয়সেই গান গাওয়া শুরু করেন তিনি।
১৯৫৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দক্ষিণ খানে জন্মগ্রহণ করেন পাগল মনির। পিতা- হযরত রহম আলি শাহ ও মাতা- আয়াতুন নেছার সন্তান মনির গ্রামের মানুষদের হৃদয়ে স্থান করে নেন মধুর কণ্ঠে গান গেয়ে। পরবর্তীতে তার পরিবার মৌলভীবাজার জেলার ঘোড়াখাল গ্রামে বসবাস শুরু করে।
পাগল মনির সংগীত শিক্ষা নেন ওস্তাদ পাগল বাচ্চুর কাছ থেকে। পরবর্তীতে তিনি আরেক প্রখ্যাত সংগীতগুরু ওস্তাদ লতিফ সরকারের কাছ থেকেও দীক্ষা লাভ করেন। তার কণ্ঠে মুর্শিদী, বাউল ও আধ্যাত্মিক গান দর্শকদের মন ছুঁয়ে যেত। বাংলার ৬৪ জেলায় তিনি পরিচিতি লাভ করেন এবং দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও তার গান সমাদৃত হয়।
প্রথম পর্যায়ের জনপ্রিয় অ্যালবামগুলো : রুপ সাগরে ঝলক মারিয়া, সইলো লুকাইয়া কত রই, অন্তর জলে, আর কত কাঁদিবো।
আধ্যাত্মিক ধারার অ্যালবামসমূহ : কুঞ্জবনে, সাধুর বাজার, অমর প্রেম, প্রেম জালা, বকুলের বাঁশি।
প্রতিটি অ্যালবামই শ্রোতাদের মাঝে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার গানগুলো শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং আধ্যাত্মিক চিন্তা ও আত্মার খোরাক হিসেবে বিবেচিত হয়। পাগল মনির তার গানের মাধ্যমে মানুষকে শান্তি, প্রেম ও মানবতার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের লোকজ ও আধ্যাত্মিক গানের জগতে পাগল মনির একটি জীবন্ত ইতিহাস হয়ে রয়েছেন।