এখানে শব্দের স্নান ঘর...প্রতিটি শব্দকে ধুয়ে-মুছে বসিয়ে দেয়া হয় কাব্যের শরীরে।
এখানে দুঃসহ ছেনি-হাতুড়িতে নিজেকে কেটে কেটে অবয়ব দেয়া হয়,
মানুষের অবয়ব, মুক্তির অবয়ব, নিঃসীম অন্ধকারের অবয়ব!
মৃত সন্ধ্যারা পাঁজা পাঁজা স্বস্তি খুঁজে ব্যাকুল থাকে,
পোশাকি সংস্কৃতির পকেটে যৌবন ধরে রাখার মিথ্যা ওষুধের বিকিকিনি চলে।
ফসল ফলানো মাঠজুড়ে কৈবর্ত পাড়ায় কান্নার বাজার বসে,
চোখ কচলে গরাদখানায় উঁকি মারে সোহাগী সূর্য।
নিগূঢ় উন্মত্ততায় হাসতে চায় পৃথিবীর শক্ত চোয়াল,
অচেনা বংশধর পরিচয়ের স্বীকৃতি চেয়ে আঙুল তোলে।
সময়ে বিঁধে থাকা চোখ পদ্যের নির্মোহ স্রোতে ভাসতে চায়,
পৃথিবীর দুর্বোধ্য চিৎকারে প্রতিনিয়ত আমি একা হই,
একাকীত্বের মিছিলে মুহুর্মুহু হাত বাড়াই, হাত ধরি;
এখানে দুঃখ বড়ই একা, তার চেয়ে বেশি একা মৃত্যু!
আমি, দুঃখ আর মৃত্যু আত্মহননের পথ খুঁজি- মুক্তির আশায়,
শুধু একটুখানি মুক্তি নেশায় ‘মৃত্যু’ সেও ঘুমাতে পারে না।
একাকীত্বের চোখে চোখ রেখে নিবিড় চেয়ে থাকি- নির্বাক, নিষ্পলোক!
ঠিক, দুঃখের হাত ধরে মৃত্যুর মতো সংযমীয় যন্ত্রণায়।
আজকালের খবর/আরইউ