রাতের গভীরতার সাথে ওদের কান্নাও আঁধারের মত গাঢ় হচ্ছিল। একেবারে জমাট বাধা সুর। ওদের আশ্রয়ের কয়েক কদম দূরেই আমার আশ্রয়। অবশ্য ওদের ক্ষেত্রে আশ্রয় বলাটা ভুল। তাতে ওদের গুরুত্বকে হালকা করা হয়। আমি রাজনীতিক নই। তাই এমন বাক্য অসমীচীন। যেহেতু ওদের জন্মই ওখানে। অতএব আশ্রয় নয় জন্মভূমি। এখানের আর্তনাদ বড়ই বেমানান, মর্মান্তিক! কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? রাত ফুঁড়ে কানে এসে বিঁেধ র’লো। সহমর্মিতার নামে বিছানায় এপাশওপাশ করলাম। ভাবলাম সকালে দেখা যাবে।
ভোর। অফিস যেতে হবে। ব্যস্ততায় ওদেরকে মনে নেই। অবশ্য ওখান দিয়েই পথ। কোল ঘেঁষেই যেতে হয়। সারারাত কান্নার ক্লান্তি ওদের। একটুআধটু ঝিমুচ্ছে। থেকে থেকে তবু কুঁইকুঁই আওয়াজ। চোখ পড়ল। ওরা সদ্যজাত। সংখ্যাটা গুনিনি তো!
সংলগ্ন বস্তি। ছেলেরা এখানে ওঁৎ পেতে থাকে। ভীড় জমায়। আজও আছে। উদোম শরীর। পুষ্টিহীন। অক্টোবর নভেম্বরে এমনটা বেশি হয়। বাচ্চা প্রসবের সিজন চলে তো! কুকুরের বাচ্চাকে ওরা চুরি করে। ওটা ওদের শখ। এই শখ পূরণে ওই শিশুরা তুমুল প্রতিযোগিতায় মাতে। তাতে সর্বশান্ত হয় মা। অতটুকু দুধের বাচ্চাকে খুঁইয়ে মা কুকুরটা একটানা আর্তনাদ করে। সন্তান হারানোর কষ্ট তো?
আজকের আর্তনাদ সম্পূর্ণ উল্টো। মা কুকুরটির কান্না একবারও কানে এলো না। সারারাতের কচিকণ্ঠের আর্তনাদ। কানের পর্দায় একদম সেঁটে গেছে। মনকে স্থির রাখতে কষ্ট হচ্ছে। ভোলাকাকার কুকুর। কাকা তাকে ‘রঙ্গিলা’ নামে ডাকতো। ‘রঙ্গিলা’ কেন জানা নেই। ভোলাকাকাও কোনো ব্যাখ্যা দেন নাই। তবে এ নিয়ে নানান টিপ্পনি শুনতে হয়ছে তাকে। রঙ্গিলা আদর পেয়ে প্রায়ই গলা বেয়ে উঠতো। মাদিকুকুরকে পোষ মানানোর রীতি অহরহ নয়।
ঘটনাটা বছর কয়েক আগের। বেপরোয়া এক মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনায় পড়ে ছোট্ট রঙ্গিলা। বেঁচে যাওয়া কুকুরটিকে বাড়ি এনে শুশ্রুষা দেন ভোলাকাকা। সেই হতে দু’জন দু’জনের মায়ায় পড়ে। একজন অন্যকে ছেড়ে থাকেনি। কুকুর তো চিরকালই প্রভুভক্ত। আদিকাল থেকেই কুকুর মানুষের সম্পর্ক নিয়ে সাহিত্যেরও অন্ত নেই। ওদের কাছে যেতে কান্না যেন উথলে বেরুলো। সে অজানা এক বিহ্বল সুর। সামনে তাকাতেই চোখে পড়ে সেই বাচ্চা ছেলেগুলো। তারা ভয় পেয়ে গেল। অসহায় চোখে আমার দিকে তাকায়। ওদের নাম জেনে নিলাম। সজল, রাহুল, বাপন ও অন্যান্য। বাপনের দৃষ্টিতে অজানা কষ্টের ঢেউ। সজল পাশের নালা থেকে গণ্ডুষে জল এনে বাচ্চাগুলোকে খাইয়ে চলে। কখনো অপলক চেয়ে থেকে দীর্ঘশ্বাসের পর দীর্ঘশ্বাস সাজায়। প্রথমে ভেবেছিলাম ওরা হয়তো বাচ্চাগুলো চুরি করতে এসেছে।
কিন্তু নাহ্। চোখ, মুখ আর অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর সে কথা বলে না। কুকুর ছানার আকুতির ঢেউ ওদের বুকেও আছড়ে পড়ছে। এ এক অন্যরকম বিষাদের অবতারণা। কুকুরছানার আর্তি আর পথের ধারে বেড়ে ওঠা মানবশিশুর চোখের ভাষায় নিজেকে মিলিয়ে ফেলি। নিজেকে সজল, বাপন, রাহুল ভিন্ন অন্যকিছু ভাবতে পারিনি আর। এই ভোরে আমরা ক’জন ভিন্ন ওই কুকুর বাচ্চাগুলোর কেউ ছিল না। তাদের কান্না নিবৃত করতে চেষ্টা চালাই। বুঝতে কষ্ট হয় না ক্ষুধার তীব্র কষ্ট পোহাচ্ছে ওরা। কিন্তু এতো ছোট বাচ্চারা মায়ের দুধ ভিন্ন আর কি-ই বা খেতে পারবে? তাহলে ওদের মা কোথায়? ওদের মাধ্যমে জানতে পারলাম রঙ্গিলার মর্মান্তিক মৃত্যুসংবাদ। স্টেশনের উত্তর দিকে পায়ে হাঁটা সহজ পথ। সেখানেই মৃত দেহটি পড়ে আছে। সেখানে ছুটে যাই। হ্যাঁ, রঙ্গিলা নিথর, নিষ্পলক। ওর বাচ্চাদের করুণ-আর্তি কানে বাজলো। কুকুরছানাগুলোর মাতৃহীন মুখ ঝলকে উঠতে লাগলো। চোখ ভিজলো আমার। আবার ফিরে এলাম ওদের কাছে। সজল, বাপন, রাহুলের মতো আমিও অসহায় সাহায্যকারী। তবু কিছু তো করতে হবে। অফিস যাব। ব্যাস্ততা বেড়ে গেল। ভাবলাম ঘর থেকে দুধ দিবো। চামচে করে ওরা খাইয়ে দিবে।
পিছন ফিরি। ভোলাকাকা নির্বাক দাঁড়িয়ে। দুঃখভরা মুখ। লালচোখে না-বলা ভাষাদের দুঃখের হাবুডুবু। জানতে চাইলাম কেন এমন হলো? ধরা গলা। যা বললো তার সারমর্ম এমন- রাত ন’টার ট্রেন। কাশিয়ানী থেকে ফিরছেন। প্রতিদিনের মতো রঙ্গিলা স্টেশনে অপেক্ষা করছিলো। অন্যদিনের মতো ও সামনে চলতে শুরু করলো। হঠাৎ প্রচণ্ড ঘেউ ঘেউ। কিছু হয়তো দেখে থাকবে। এ ভিন্ন অন্য কিছু বুঝিনি। তাকাতেই চোখে পড়লো বিরাট এক গোখরা। ভয়ঙ্কর আক্রশে তেড়ে আসছে। সে গতির কাছে পালানোর কোনো উপায় ছিল না। রঙ্গিলা বোধহয় সেটা বুঝতে পেরেছিল। শাঁ বেগে এগিয়ে সেটাকে কাঁমড়ে ঝাঁকতে থাকে। সাপটি রঙ্গিলার চোখের নীচে দাঁত বসিয়ে দেয়। আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। রঙ্গিলা ইশারায় আমাকে পালাতে বলে। ছাড়া পেয়ে সাপটি দ্রুত পালায়। রঙ্গিলা কেন যেন আমাকে ঘিরে বার বার ঘুরতে থাকে। মাথা দিয়ে আঘাত করে। বোধহয় ওখান থেকে চলে যেতে বলছিল আমায়। কেমন কুঁইকুঁই শব্দে কেঁদে চলছিল। উর্ধ্বপানে মুখ করে চিৎকার করেছিল। একসময় আমার সামনে এসে চোখের জল ছেড়ে দেয়। তখনো শেষবারের মতো পালিয়ে যেতে আঘাত করে চলছিল।
ভোলাকাকার কণ্ঠ আটকে যায়। বুকের চাপা কষ্ট হুড়মুড় করে একসাথে বেরুলো। আর্তনাদের বিকট শব্দ। পরিবেশ থমকে যায়। গায়ে জ¦র। তাকে ঘরে যেতে বলি। রঙ্গিলার অন্তিম মুহূর্তের স্মৃতি মনে করে আর ওই অনাথ বাচ্চাগুলোর মুখের আকুতিতে শিশুর মতো কাঁদতে লাগলো ভোলাকাকা। দ্রুত ঘরে আসি। দুধটুকু জ্বালিয়ে নিই। প্রাত্যহিকতা সেরে অফিসের উদ্দেশ্যে পা বাড়াই। সাথে বাচ্চাগুলোর জন্য এক বোতল দুধ। সজল, বাপন, রাহুল অপেক্ষা করছে।
সেখানে গিয়ে চোখে পড়ল অন্য এক দৃশ্য। ভোলাকাকা অসহায় বসে আছে। বাপন, সজল, রাহুল সহ সমবয়সী কিছু বাচ্চারা অন্য একটি মা কুকুরকে ঢিল ছুড়ে তাড়াচ্ছে। ওরা ঢিল ছোড়ে আর চেঁচিয়ে বলে ওঠে- এই যা! যা এখান থেকে! যা বলছি। আগুন্তুক মা কুকুরটিও যেন উচ্চস্বরে আর্তনাদ করে চলে। কাছে আসতে চায়। ওদের তাড়া খেয়ে দূরে যায়। দূরে গিয়ে আবার একদৃষ্টে তাঁকিয়ে থাকে। আবার চিৎকার করে আর্তনাদ করে। কাছে আসতে চায়। ছেলেগুলোর ঢিলের আঘাত সয়। আবার দূরে গিয়ে মায়াময় চোখে তাঁকিয়ে থাকে। একদৃষ্টে। সে দৃষ্টির অন্তরালে লুকানো মাতৃস্নেহের নির্মল আতুরঘর। কুঁইকুঁই করে কেঁদে চলে।
বোঝা না বোঝার ব্যবধানে ভয়ার্ত অথচ মায়াময় এক আবহ্ লক্ষ্য করলাম। সজলদেরকে জানতে চাইলাম তা আগত ওই মা কুকুরটিকে চিনে কি না? ওরা সম্মতিপূর্ণ জবাব দিল। মুন্সিবাড়ির জোহর মুন্সির কুকুর। সে কুকুরটাও না কি চারটা বাচ্চা দিয়েছে। এখন নাকি এ বাচ্চাগুলোর দিকে তেড়ে আসছে! ওদের ভয় সে রঙ্গিলার বাচ্চাদেরকে মেরে ফেলতে পারে। কে একজন সাক্ষ্য দিল- মাস কয়েক আগে রঙ্গিলার সাথে ‘ডগি’ নামের এই কুকুরের মারামারি হয়েছিল। মোল্লাদের পুকুরপাড়ে। সেদিন রঙ্গিলা ডগির কান কাঁমড়ে দিয়েছিল। আজ তারই প্রতিশোধ নিতে বাচ্চাগুলোর দিকে বারবার তেড়ে আসছে। এমন বর্ণনায় আমি বিস্ময় ও দ্বিধায় পড়ে গেলাম। সত্যি কি তবে প্রতিশোধের নেশা। কুকুররা কি এতটাই প্রতিশোধপরায়ণ? কুকুর তো বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রাণী। তবে কেন এমন হিংস্রতা? এমন তো হতে পারে ওদের ক্ষুধাভরা মুখ দেখে, ওদের অসহায় আর্তি শুনে তার মনে দরদ জেগেছে। নইলে এতকাল নাকি এ পথে একবারও দেখা যায় নাই। তবে কি ওদের আর্তনাদ শুনে কিংবা রঙ্গিলার মৃত দেহটিকে পথিমধ্যে পড়ে থাকতে দেখে এই ডগি’র মনে হিংসা নয়, বরং মাতৃত্বের টানেই এখানে ছুটে এসেছে! আমরা মানুষেরা কেন এতটা বাঁধার সৃষ্টি করছি? ওদের ওই ভাষার কি-ই বা বুঝি আমরা?
ছেলেগুলোকে নিবৃত করলাম। ভোলাকাকা শোকে বোধহয় পাথর হয়ে গেছেন। রঙ্গিলার এ ধরনের বিয়োগ তাকে নির্বাক করেছে। আমরা ভোলাকাকা’র পাশে গিয়ে দাঁড়াই। ডগি দ্রুতই রঙ্গিলার বাচ্চাদের কাছে ছুটে আসে। আমাদের চোখগুলো আরো বেশি সতর্ক হয়। বাচ্চাগুলো কুঁইকুঁই করে কেঁদে ওঠে। ডগি ওদের মুখের সাথে মুখ ঘঁষে ঘঁষে কী যেন অব্যক্ত ব্যথায় ডুকরে কাঁদে। রঙ্গিলার বাচ্চাদের পাশে নিজেকে এলিয়ে নিজের দুধ খাওয়ানোর মগ্নতায় কোলে তুলে নিল। ঠিক রঙ্গিলা যেমন পরম যত্নে আদরে আদরে ভরে দিত। ডগি’র বেলায়ও তার ব্যতিক্রম ছিল না। রঙ্গিলার অসহায় সন্তানদের জন্য এক মাতৃত্বের অঙ্গিকার! আমরা অভিভূত হই, আবেগী হই। আমাদের চোখগুলো ভিজে ওঠে। ভোলাকাকার পিঠে স্বস্তির হাত রাখি। ভোলা কাকা হাউমাউ কেঁদে ওঠে।
সেদিন আর অফিস যেতে পারিনি। ইচ্ছে জাগেনি। ডগি’র দুধ খাওয়ানো শেষ হয়। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ ওদের মুখের সাথে মুখ ঘঁষে। দৌঁড়ে মুন্সি বাড়ি নিজের বাচ্চাগুলোর নিকট ছুটে যায়। কেন যেন দু তিন বার এরকম আসা যাওয়া করে। তারপর ভোলাকাকার সামনে দাঁড়িয়ে কুঁইকুঁই ঘেই ঘেউ করে অজানা ভাষায় কী যেন কী বলতেছিল। হয়তো ভোলাকাকার নিকট অনুমতি প্রার্থনা করছিল।
ভোলা কাকা কী বুঝেছিলেন জানা নেই। কোনো কথা বলতে পারেনি তখন। ডগির মাথায় হাত বুলিয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে। ডগি শান্তভাবে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়িয়ে কী বুঝালো কে জানে! মাথা নিচু করে বাচ্চাগুলোর কাছে গেল। এক একটা বাঁচ্চাকে মুখে করে মুন্সিবাড়ি নিজের বাচ্চাদের কাছে রেখে আসে। এমনি করে রঙ্গিলার সমস্ত বাচ্চাকে ডগি নিজের বাচ্চার সাথে পরমস্নেহে লালন করে চলে।
ভোলা কাকার রঙ্গিলার স্মৃতি মনে পড়লেই ধীর পায়ে হেঁটে হেঁটে বাচ্চাগুলোর কাছে যায়। পরম আদরে হাত বুলায়। কোলে নেয়। ওরাও দলবেঁধে এসে ভোলা কাকার গায়ের সাথে গা ঘঁষে। পায়ে জড়িয়ে ধরে কুঁইকুঁই করে মনের কত কথা বলে চলে। বাড়ি যেতে উদ্যত হলেই সামনে দাঁড়িয়ে বেড়িকেড তৈরি করে, বাঁধা দেয়, গা বেয়ে মাথায় ওঠে। ভোলা কাকা তখন হাত বুলিয়ে আবার আশ^স্ত করে কথা বলে। জোহর মুন্সির কানে এসব কথা যায়। ভোলা কাকার সাথে জোহর মুন্সির বহুকাল ধরে প্রভাব, প্রতিপত্তি নিয়ে মর্যাদার লড়াই চলে আসছিল। একে অপরকে শত্রু ভাবতো। কথা বার্তা নেই কতকাল তার ইয়ত্তা নেই; সীমানা মাড়ানো তো দূরের কথা।
আজ জোহর মুন্সি দূর থেকে চেয়ে দেখছে চিরশত্রু ভোলানাথ সর্দার তার বাড়ির সীমানায় এসে কুকুরের ওই অবুঝ বাচ্চাগুলোকে পরমস্নেহে আদর করছে। মুহূর্তেই জোহর মুন্সির সমস্ত মান-অভিমান-আক্রোশ-বিদ্বেষ অদৃশ্য এক দমকা হাওয়ায় সব উড়িয়ে নেয়। ধীর পায়ে, নিঃশব্দে হেঁটে হেঁটে ভোলানাথের পিছনে দাঁড়ায়। ভোলানাথ সর্দার তখনো একমনে বাচ্চাগুলোর সাথে খেলেই চলছিল। হেসে হেসে কত কী যে বলে যাচ্ছিল। জোহর মুন্সি খুব নীরবে ভোলানাথ সর্দারের কাঁধে হাত রাখে। ভোলানাথ চমকে ওঠে। পিছনে তাকাতেই জোহর মুন্সিকে দেখে হতবাক হয়। নির্বাক হয়, ভড়কে যায়। চোখে চোখ রাখে। কিছু সময়ের নিস্তব্ধতা দুজনকেই গ্রাস করে। ক্ষণিকের নিরবতা ভেঙ্গে জোহর মুন্সি প্রশ্ন রাখে-
-কোনগুলো তোমার রঙ্গিলার বাচ্চা? আর কোনগুলো আমার ডগি’র বাচ্চা তুমি কি বলতে পারবে ভোলানাথ?
ভোলানাথ ‘না সূচক’ মাথা নাড়ে।
-কেন বোঝো না? শুনেছি তুমি তো প্রতিদিনই আসছো, আদর করছো? অথচ বলতে পারছো না কেন ভোলানাথ?
-প্রথম প্রথম একটু চিনতাম। দিন যাচ্ছে আর মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এখন একদমই বুঝতে পারি না। তা ছাড়া ডগি এখানে ওদের নিয়ে আসার পর আমি ওদের আলাদা দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করিনি। তাই বিভেদের কথাটা একদমই ভুলে গিয়েছিলাম।
-হ্যাঁ ভোলানাথ, দীর্ঘকাল একত্রে থাকলে অমনই হয়। তুমি আমি তো একই গাঁয়ে, মানে একই মায়ের কোলে বেড়ে উঠেছি...।
কথা থেমে যায়। দু’জন দু’জনকে বুকে জড়িয়ে ধরে।
আজকালের খবর/আরইউ