প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:২০ পিএম

সার নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে উঠার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে কৃষকদের জিম্মি না করতে নতুন নীতিমালা বাতিলসহ ৪ দফা জানিয়েছেন সার ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের নাসির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় বাংলাদেশে ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিট।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএফএ’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিটের সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন।
এ সময় তিনি ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৫ বাতিল করে ২০০৯ সালের নীতিমালা পুনর্বহালের দাবি জানান।
তিনি জানান, ২০০৯ এর নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি ইউনিয়নে একজন ডিলার, দুইজন সাব-ডিলার এবং নয়জন খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে সার বিক্রয় করা হয়। তবে ২০২৫ সালের নীতিমালায় প্রতি ইউনিয়নে তিনজন করে ডিলারের মাধ্যমে সার বিক্রি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিলারদের বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধিরও দাবি জানানো হয়। এছাড়া প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ি সার সরবরাহ নিশ্চিত করা, বেসরকারি পর্যায়ে সার আমদানির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জালাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সাব-ডিলার এবং খুচরা বিক্রেতা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র তিনজন ডিলার থাকলে সার সিন্ডিকেটে চলে যাবে। এতে করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। নতুন নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে প্রতিটি ইউনিয়নের সারের বরাদ্দ তিন ভাবে বিভক্ত হবে। এছাড়া নতুন করে গুদাম ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে সার সরবরাহে জটিলতা দেখা দিবে।
এ সময় বক্তারা বলেন, অন্তবর্তী সরকারের সময়ে তড়িঘড়ি করে নীতিমালা পরিবর্তন করলে ভবিষ্যত সময়ে রাজনৈতিক সরকার পুনরায় তা পরিবর্তন করতে পারে। তাই সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভুল সিদ্ধান্তে মাঠ পর্যায়ে সার সরবরাহ অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে, যার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএফএ’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিটের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি মো. ইব্রাহিম মোল্লা ও মো. সেলিম সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজকালের খবর/বিএস