
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে একটি পূর্ণঙ্গ পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার।
গত ১৩ নভেম্বর এটির অনুমোদন দেয়া হলেও গত রবিবার দুপুরে রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত আইজি (ভারপ্রাপ্ত) ব্যারিস্টার মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই অনুমোদের বিষয়টি জানা যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন।
প্রতিদিন এই রেলওয়ে স্টেশন থেকে হাজারো যাত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়ত করলেও এই স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো পুলিশ ফাঁড়ি নেই। ফলে টিকেট কালোবাজারি, চুরি, প্ল্যাটফরমে বিশৃঙ্খলা ও নারী যাত্রীদের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা ছিলো দীর্ঘদিনের।
সামাজিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জবাসীর দাবির মুখে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে একটি পূর্ণাঙ্গ পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আশুগঞ্জ রেলস্টেশন স্টেশন এলাকায় টহল, যাত্রী নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জরুরি সেবার গতি বৃদ্ধির লক্ষে পুলিশ ফাঁড়িতে ১ জন সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই), ১ জন সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই), ২ জন নায়েক, ৫ জন কনস্টেবল পদায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে সামাজিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবক ও সাংবাদিক আল মামুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জবাসী রেলস্টেশনে নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা স্টেশনে একটি অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে একটি পুলিশ ফাঁড়ি অনুমোদন দিয়েছে। এতে প্ল্যাটফরমে নিরাপত্তা বাড়বে। কমবে টিকেট কালোবাজারি ও চোর, ছিনতাইকারীসহ অপরাধীদের দৌরাত্ম।
আরেক স্বেচ্ছাসেবী সাংবাদিক ইসহাক সুমন বলেন, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আশুগঞ্জ রেল স্টেশনে পুলিশ ফাঁড়ি অনুমোদন হয়েছে। আশুগঞ্জবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল এই পুলিশ ফাঁড়িটি স্থাপনের। এজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম শফিকুল ইসলাম বলেন, আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে অস্থায়ী রেলওয়ে ফাঁড়ির অনুমোদন হয়েছে। এছাড়াও বিজয়নগর উপজেলার আজমপুরসহ একাধিক রেলওয়ে স্টেশনে পুলিশ ফাঁড়ির জন্য আবেদন করা হয়েছিলো।
আজকালের খবর/বিএস