কক্সবাজারের টেকনাফে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ৩৯ জন অপহৃতকে উদ্ধার এবং ২ জন মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- ১৮ জন রোহিঙ্গা নারী, ১১ জন রোহিঙ্গা পুরুষ, ৮ জন রোহিঙ্গা শিশু, ২ জন বাঙালি পুরুষ। আটক পাচারচক্রের দুই সিএনজি চালক- উখিয়া থ্যাংখালী পালংখালী এলাকার বাসিন্দার নজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ জাবেদ (৩০), একই এলাকার কাদির হোসেনের ছেলে মুসলেম উদ্দিন(৩০)।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী টেকনাফ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম. মোহাইমিনুল হক মাহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২ অক্টোবর দিবাগত রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া পাহাড়ের গভীরে সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। পাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে জিম্মি করে রাখে এবং মুক্তিপণ আদায়সহ বিদেশে পাঠানোর নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিত। সংবাদ পেয়ে নৌবাহিনীর বিশেষায়িত সোয়াডস কমান্ডো দল এবং কোস্টগার্ডের অভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে ২ জনকে আটক করা হয়। পরে চিরুনি অভিযানে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৯ জনকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন তানভীর রশিদ, নৌবাহিনীর সোয়াডস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাইয়ান রহমান (এক্স), বিএন এবং লেফটেন্যান্ট ইফতেখার-ই আলম।
ভিকটিমদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং আটক মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নৌবাহিনীর তথ্যমতে, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন যৌথ অভিযানে মোট ১৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মানবপাচার ও চোরাচালানসহ যেকোনো অপরাধ দমনে নৌবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে এবং এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আজকালের খবর/ওআর