
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ অক্টোবর) হামাস মার্কিন পরিকল্পনার কিছু শর্ত মেনে নিয়ে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পর এ আহ্বান জানান তিনি। তবে নিরস্ত্রীকরণসহ বেশ কিছু জটিল ইস্যু এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ইসরায়েল ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে জিম্মিদের মুক্তি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হামাসকে রোববারের মধ্যে পরিকল্পনা মেনে না নিলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে- ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারির পরে শুক্রবার হামাস ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার জবাব দেয়।
ট্রাম্প নিজেকে গাজা সংকটের একমাত্র সমাধানকারী হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন, হামাস স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত বলে প্রমাণ দিয়েছে। এখন দায়িত্ব নেতানিয়াহুর সরকারের। তিনি এক পোস্টে লিখেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যাতে জিম্মিদের দ্রুত ও নিরাপদে মুক্ত করা যায়। এটি শুধু গাজার প্রশ্ন নয়, বরং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি।
তবে গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বার্তার পরও ইসরায়েলি ট্যাংক গাজা সিটির তালাতিনি সড়কে গোলাবর্ষণ করেছে। রিমাল এলাকায় কয়েকটি বাড়ি এবং খান ইউনুসেও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েল এখনো হামাসের প্রতিক্রিয়া বা ট্রাম্পের বোমা বন্ধের আহ্বান নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ বলেছেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিতে হবে।
জিম্মিদের পরিবারগুলোও নেতানিয়াহুকে দ্রুত আলোচনার নির্দেশ দিতে আহ্বান জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। বর্তমানে ৪৮ জন জিম্মি রয়ে গেছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে দাবি করছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনসহ একাধিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে ইসরায়েল বলছে, এটি তাদের আত্মরক্ষার যুদ্ধ। সূত্র: রয়টার্স
আজকালের খবর/বিএস