
দুই দিনের সফরে সোমবার (৬ অক্টোবর) ঢাকায় আসছেন তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিন্চি। সফরে বিভিন্ন উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও তুরস্কের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি বেশি গুরুত্ব পাবে। কারণ, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর দুই দেশের সচিবরা বৈঠকে বসছেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আগামী ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম। তুরস্কের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন বেরিস একিন্চি। বৈঠকে রাজনৈতিক পরিসরে সম্পর্ক জোরদার, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বেশ কিছু বিষয়ে গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দুই দিনের সফরের প্রথম দিনে (৬ অক্টোবর) তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন।
সফরের পরের দিন পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, জ্বালানি উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েজন উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
সাধারণত পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে দুই দেশের সামগ্রিক সম্পর্কের সব বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও তথ্যপ্রযুক্তির মতো বিষয়গুলোও আলোচনায় আসবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি ডলার। অধিকাংশ বাংলাদেশ আমদানি করে। ফলে তুরস্কে যাতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাড়ে, তা নিয়ে আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের অনেকগুলো সফর বিনিময় হয়েছে। এরমধ্যে গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসেন তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাট। এরপর ফেব্রুয়ারিতে আঙ্কারা সফর করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) নজরুল ইসলাম।
এপ্রিলে আনতোলিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামে অংশ নেওয়ার ফাঁকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এরপর জুলাইতে ঢাকায় আসেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধান হালুক গরগুন।
আজকালের খবর/বিএস