
বগুড়ার সোনাতলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফ্রেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সোনাতলা উপজেলা শাখা। বিক্ষোভ মিছিলটি মাদরাসা মোড় থেকে শুরু হয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাদারাসা মাঠে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য অধ্যাপক নাজিমউদ্দীন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এদেশ কোরআন সুন্নাহর আইন দিয়ে দেশ পরিচালনার জন্য জামায়াত ইসলামী অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছে। জামায়াত ইসলামীর অনেক শীর্ষ বিশিষ্ট নেতাদেরকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু জামায়াত ইসলামী একটা মুহূর্তের জন্যও তাদের সংগ্রাম বাদ দেয়নি। জামায়াত ইসলামী যা চাচ্ছে, তা হলো, আল্লাহর হুকুম।
সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট দলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা কর্মপরিষদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মোজাহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক মন্ডল, সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা রবিউল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ দফা দাবিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন এটা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। শহীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তারা জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য আহ্বান জানান। বক্তারা এ সময় আরও বলেন, আগামী নির্বাচন হবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদের নির্বাচন। এই নির্বাচনে কোনো ফ্যাসিবাদিরকে ভোট দিয়ে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা যাবে না। বক্তারা সমাবেশ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দেওয়া এবং তার পক্ষ হয়ে ময়দানে কাজ করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নুরুল ইসলাম, মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ডা: নুরুল আমীন সরকার, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি ডা: আব্দুল্লাহ আল জাকারিয়া, উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি শেখ শাকিল, সাধারণ সম্পাদক ডা: ফজলে রাব্বি নাসিম, উপজেলা শিবিরের সভাপতি লাবিবুল হাসানসহ উপজেলা, পৌর এবং ইউনিয়ন জামায়াতের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
৫ দফা দাবিগুলো হলো:
১) জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন আয়োজন করা।
২) আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা।
৩) অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে ৪ সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪) ফাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫) স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আজকালের খবর/ওআর