প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:১৭ পিএম

কোভিড-১৯ এর আকস্মিক প্রাদুর্ভাবের ফলে বাংলাদেশের সকল স্কুল ১৮ মাসের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং এ সময় শ্রেণিকক্ষে প্রচলিত সকল শিখন-শেখানো কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এই দীর্ঘস্থায়ী বন্ধে ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হারও বাড়তে থাকে। যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি এর প্রকল্প ‘Educate the Most Disadvantaged Children in Bangladesh (EMDC)’ এর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য একসেলারেটেড মডেলে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১০ মাসের এই মডেলের মধ্যে রয়েছে ৪ মাসের একটি ক্যাচ-আপ কম্পোনেন্ট (Bridge Course) এবং ৬ মাসের নির্দিষ্ট শ্রেণিভিত্তিক শিখন প্রক্রিয়া, যা শিক্ষার্থীদের পূর্বের শিখন ঘাটতি পূরণ করে পুনরায় আনুষ্ঠানিক স্কুলে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টম্বর) সকাল ১১টায় ব্র্যাক এক্সেলারেটেড এডুকেশন বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতার এই বিনিময় সভা উলিপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
বর্তমানে ‘EMDC’ প্রকল্পটির চতুর্থ বর্ষ চলছে এবং প্রায় ৪৮৭৫০ শিক্ষার্থী ১৯৫০টি ব্র্যাক স্কুল থেকে এই মডেলে শিক্ষা সম্পন্ন করেছে এবং আরও ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ১২০০টি ব্র্যাক স্কুলে অধ্যয়নরত আছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই প্রকল্পটির শেষে ১,৪৭,৫০০ শিক্ষার্থী প্রায় ৫৯০০টি এক কক্ষ বিশিষ্ট স্কুল থেকে ১০ মাসের একসেলারেটেড মডেলে শিক্ষা লাভ করবে।
গাইবান্ধার ব্র্যাক আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (ইএমডিসি) শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা।
তপন কুমার সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছা. নার্গিস ফাতিমা তোকদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার খন্দকার মো. ফিজানুর রহমান, নতুন অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. শিমু সুলতানা, কাগজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল ইসলাম, চাঁদনী বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুমা খানম মেরি প্রমুখ।
আজকালের খবর/ওআর