সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং স্ত্রী ও পাঁচ বছরের শিশুকে বিছানা থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর এলাকার আবুল হোসেনের টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- বগুড়া জেলার ধুনট থানার নলডাঙা গ্রামের রুবেল আহমেদ, তার স্ত্রী বগুড়ার বড়িতলি গ্রামের বাসিন্দা সোনিয়া আক্তার এবং তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান জামিলা (৫)। নিহত রুবেল পেশায় রাজমিস্ত্রী ও তার স্ত্রী পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে রুবেল তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আবুল হোসেনের বাড়ির টিনশেডের একটি কক্ষে ভাড়া ওঠেন। রবিবার বিকেল থেকে ওই পরিবারটির কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা সন্দেহ করেন। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় রুবেলের লাশ এবং স্ত্রী ও মেয়ের নিথর দেহ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটির মুখ থেকে তীব্র বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিষপ্রয়োগে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে স্ত্রী সোনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করি। তাদের মধ্যে একজনের ঝুলন্ত লাশ এবং স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ বিছানায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে রুবেল প্রথমে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে পরে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজকালের খবর/ এমকে