বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল বিএনপির যখন দুঃসময়, তখন এই দলটির অনেক নেতা-কর্মীই নানা ধরনের সংকটের মধ্যে পড়েন। মামলা-হামলার শিকার হয়ে অনেকেই রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে দূরে সরে যান। কিন্তু নওগাঁ-৩ (বদলগাছী ও মহাদেবপুর) আসনের চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন। এখানে বিএনপির একজন নেতা তাঁর কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের মনোবল চাঙ্গা রেখেছেন। তিনি হলেন নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জনাব ফজলে হুদা বাবুল। যিনি শুরু থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে রাজনীতি করে আসছেন।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে যখন বিএনপি ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে, তখন এ আসনের অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয়। তাঁরা আইনি জটিলতায় পড়েন এবং আর্থিক সংকটে জর্জরিত হন। এমন সময়ে, ফজলে হুদা বাবুল ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁদের পাশে দাঁড়ান। তিনি কেবল আইনি সহায়তা বা জামিনের ব্যবস্থা করেননি, বরং নিয়মিত তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবরও নিয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করে।
জেনে অবাক হবেন, জনাব ফজলে হুদা বাবুল বাল্যকাল থেকেই বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তখন সালটা ছিল ১৯৮৭, তিনি যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন, পড়াশোনায় অনেক মেধাবী হওয়ায় তিনি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। পরিবারের অঢেল সম্পত্তি না থাকলেও তার বড় মন এবং জনদরদী মনোভাবের কাছে তা বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অষ্টম শ্রেণিতে পাওয়া বৃত্তির সম্পূর্ণ টাকা দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী এবং গরীব-দু:খী মানুষদের মাঝে তিনি বিলিয়ে দেন। কিশোর বয়সেই তার এমন জনদরদীমূলক কাজগুলোর মাধ্যমে তিনি অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফুটাতে সক্ষম হন। সেই সময় হতে তিনি আরও উৎসাহ এবং অসহায়দের মুখে হাসি ফুটানোর কাজে মনের শান্তি খুজে পান। তারপর থেকে তিনি সেই কাজেই লিপ্ত, যা তাকে সাধারণ জনগণ এবং নেতা-কর্মীদের কাছে প্রাণের নেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র, বিটিভির কয়েকবারের শ্রেষ্ঠ বিতর্কিক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় থেকেই জসিম উদ্দীন হলের বিতর্ক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি বিটিভির আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত বিতর্কিক। তাছাড়াও জনাব ফজলে হুদা বাবুল কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং নওগাঁ-৩ আসনের বদলগাছী উপজেলা বিএনপির কয়েকবারের সংগ্রামী সভাপতি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে বহু নির্যাতন এবং অত্যাচারের শিকার হওয়ার পরও তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শে অটল রয়েছেন, যা তার দেশের জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ।
স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, দলের কঠিন সময়ে যখন প্রায় অধিকাংশ নেতাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন বা নেতা-কর্মীদের থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। এর বিপরীতে, ফজলে হুদা বাবুল ঝুঁকি নিয়েও দলের কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে তাঁদের সাহস জুগিয়েছেন। এই ব্যক্তিগত সম্পৃক্তি তাঁর প্রতি নেতা-কর্মীদের আস্থা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
মহাদেবপুর উপজেলার এক প্রবীণ নেতা বলেন, "যখন আমাদের কঠিন সময় ছিল, তখন বাবুল ভাই আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি শুধু নেতা নন, আমাদের একজন অভিভাবকের মতো ছিলেন।"
বদলগাছী উপজেলার আরেক কর্মী বলেন, "আমরা বিপদে পড়লে অন্য কোনো নেতাকে কাছে পাইনি, কিন্তু বাবুল ভাই সবসময় আমাদের খোঁজ নিয়েছেন।"
ফজলে হুদা বাবুলের এই ভূমিকা নওগাঁ-৩ আসনে তাঁকে একজন জনদরদী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রাজনৈতিক দুঃসময়ে তিনি যেভাবে দলের নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছেন, তা শুধু নেতৃত্ব নয়, মানবিক সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর এই কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে স্থানীয় রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করেছে। তাই এমন একজন মহৎ নেতাকে বিএনপি নওগাঁ-৩ আসনের মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে, দেশের এবং দশের উন্নয়নের জন্য একটি সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন নওগাঁ-৩ আসনের স্থানীয় বিএনপি।
আজকালের খবর/ এমকে