
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার হাট-বাজারে বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী টরকী বন্দরে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকে হাঁটু পানি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বাজারে আসা যাওয়া হাজারো নারী-পুরুষ ও সাধারণ মানুষ।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে অল্প সময়ের মধ্যেই পানি না নামায় বাজারের সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়।
টরকী বন্দরের স্থানীয় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রাফিজা বস্ত্র বিতানের মালিক ফিরোজ হাওলাদার জানান, টরকী বন্দরে প্রায় আড়াই হাজার দোকান রয়েছে। এছাড়া এখানে ২০-২৫টি ব্যাংক, স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম পাইকারি বাজার হিসেবেও টরকী বন্দর বহুল পরিচিত। কিন্তু, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি সড়ক থেকে ড্রেনে যেতে পারে না।
স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, বন্দরের দু’টি খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করে রাখায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়।
বাজারে আসা আফরিন জাহান নামের এক নারী অভিযোগ করে বলেন, ‘ডাক্তারের কাছে ওষুধ নিতে এসে বৃষ্টিতে আটকা পড়েছি। বাচ্চা নিয়ে এখন বের হতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। ময়লা পানিতে পা চুলকাচ্ছে, কাপড়ে কাদা লেগে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন, যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো থাকতো তাহলে পানি দ্রুত নেমে যেত। কিন্তু, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমে যায়।
অন্যদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ১০ মিনিট বৃষ্টি হলেই বাজারে যে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে তা দিয়ে পানি নামতে পারে না, ফলে রাস্তায় পানি জমে থাকে।
টরকী বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি শরীফ শাহাবুদ্দিন হাসান বলেন, ‘বৃষ্টির পানি জমে থাকার বিষয়টি আমরা উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তবে খাল খননের ফলে আগের তুলনায় এখন কিছুটা হলেও পানি জমা কম হয়েছে।’
এ বিষয়ে গৌরনদী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরী জানান, টরকী বন্দরের কিছু ড্রেন নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া রাস্তার সঙ্গে আরও কিছু ড্রেন নির্মাণের প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। যেসব স্থানে বৃষ্টির পানি জমে, সেখানে পৌরসভার প্রকৌশলী পাঠিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
আজকালের খবর/ওআর