নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদে নৌকার সাথে সংঘর্ষে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৪ শিশুর মধ্যে আজ রোববার আরও তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)এম এ কাদের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ ও স্থানীয়রা দুর্ঘটনা স্থলের আশপাশে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত শিশুরা হচ্ছে, খালিয়াজুরীর আন্ধাইর গ্রামের স্বপন মিয়ার মেয়ে লায়লা আক্তার (৭), নবাব মিয়ার মেয়ে শিরিন আক্তার (১৮) ও সামসু মিয়ার মেয়ে সামিয়া (১১) । এর আগে শনিবার দুপুরে উষা মনি (৪) নামের এক শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্পিডবোটডুবির ঘটনায় নিখোঁজ চারজনের সবার মরদেহই ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাঁচহাট চরপাড়া এলাকায় ধনু নদে স্পিডবোটডুবির ঘটনাটি ঘটেছিল।
স্থানীয়রা জানান, আন্ধাইর গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে রানা মিয়ার বিয়ে উপলক্ষে ভাড়ায় চালিত একটি স্পিডবোট আনা হয়। এ স্পিডবোটে চড়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা গ্রামে কনের বাড়িতে বরসহ বরযাত্রীদের যাবার কথা ছিল। কিন্তু বরযাত্রী রওনা হওয়ার আগমুহূর্তে বিয়েবাড়ির ১৫ জন মিলে স্পিডবোটটি নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পাশের ধনু নদ এলাকায় ঘুরতে যান। এ সময় ধনু নদে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাল্কহেডকে পাশ কাটিয়ে যাবার সময় জেলেদের এক নৌকার সঙ্গে স্পিডবোটটির ধাক্কা লাগে। তখন নৌকার জেলেরা দ্রুত স্পিডবোটে উঠে এসে চালকের সঙ্গে ঝগড়া বাধায়। হুড়োহুড়ির একপর্যায়ে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এতে সে সময় ওই চারজন স্পিডবোট আরোহী প্রবাহমান ধনু নদে নিখোঁজ হয়েছিল।
স্থানীয় অনেকের ভাষ্য, জেলে নৌকার সাথে সংঘর্ষের পর স্পিডবোটিকে ইচ্ছে করে জেলেরা ডুবিয়ে দিয়েছে। এমন অভিযোগ পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে- খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ থানায় আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আসেনি।
আজকালের খবর/ এমকে