
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলেও, এদের অন্তত ৪০ শতাংশই চাকরি পান না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ হলো পুরনো ও অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাস, যা আধুনিক চাকরির বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নীলক্ষেতের আইসিএমএবি ভবনে অনুষ্ঠিত চতুর্থ অ্যাকাউন্টিং এডুকেটর্স কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রায় আড়াই হাজার কলেজের শিক্ষকদের মানোন্নয়নে নতুন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ করে হিসাবরক্ষণ বিষয়ক শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভাগীয় কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-র ব্যবহার শেখাতে হবে এবং তাদের বহুভাষিক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানসম্পন্ন অডিট চালুর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউট (ICMAB)-এর সহযোগিতা চেয়েছেন উপাচার্য।
অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, স্বাধীনতার পর অবকাঠামো উন্নয়নে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে তেমন পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে এমডিজি অর্জনে কিছুটা সফলতা এলেও এসডিজি অর্জনে এখনও পিছিয়ে আছি।
হিসাবরক্ষণ পেশায় দক্ষ জনবল বৃদ্ধির দাবি
কনফারেন্সে আইসিএমএবি-র প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতির আকার যত দ্রুত বাড়ছে, তত দ্রুত বাড়ছে না হিসাবরক্ষণ পেশায় দক্ষ জনবল। এই ঘাটতির সুযোগে দুর্নীতির মতো সমস্যা বাড়ছে। তিনি নৈতিকভাবে দৃঢ়, প্রযুক্তি-সক্ষম হিসাবরক্ষণ পেশাজীবী গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশ নেন কনফারেন্স গভর্নর জামাল আহমেদ চৌধুরী, আইসিএমএবির এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান মো. কাওসার আলম, এবং শিক্ষা উপদেষ্টা ড. নিখিল চন্দ্র শীলসহ সারাদেশের শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীরা।
আজকালের খবর/ওআর