ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নির্বাচনী কমিশনের নিরপেক্ষতা ইস্যুতে বিক্ষোভ চলাকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবাদস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী রাস্তায় বসে আছেন, হাতে ব্যানার ও পতাকা নেড়ে স্লোগান দিচ্ছেন। অনেককে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে ধাক্কাধাক্কি করতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।
আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের সামনে রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলতে পারি না, এটাই বাস্তবতা। সত্যটা আজ জাতির সামনে। এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, এটি সংবিধান রক্ষার জন্য। এটি এক ব্যক্তি এক ভোটের লড়াই। আমরা একটি পরিষ্কার এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা চাই।রাহুলের পাশাপাশি তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও আটক করেছে পুলিশ। বিহারের এসআইআর বিতর্কের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরের দিকে প্রতিবাদ মিছিলের সময় তাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় প্রিয়াঙ্কা বলেন, ওরা ভয় পেয়েছে। সরকার কাপুরুষ।
জানা যায়, এদিন বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) এবং নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) দপ্তরের দিকে পদযাত্রা করছিলেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সংসদের ‘মকর দ্বার’ থেকে নির্বাচন সদন পর্যন্ত এই পদযাত্রা শুরু হয়।
তবে পার্লামেন্ট ভবন থেকে এগোতেই পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে তাদের থামিয়ে দেয়। এসময় কয়েকজন সংসদ সদস্য, যেমন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র ও সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেসহ কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলেই বসে পড়েন এবং অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন এড়াতেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা অভিযোগ করেন, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ হচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রভাবে কাজ করছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য হিন্দু
আজকালের খবর/ এমকে