
বাহিরে নিশি বরিষে শ্রান্ত সুরে,
শীতল সমীরণ বয় নিরব কূলে কূলে।
আলোকবিহীন গৃহদ্বারে,
ছায়া নামে, নিঃশব্দে ধরা দেয় আঁধারে।
বিদ্যুৎ-শিখা চমকায় গগনে,
বজ্রধ্বনিতে কাঁপে হৃদয়, নুয়ে পড়ে মনে।
ধুকধুক স্পন্দনে বুকে বাজে গান,
স্মৃতিরা ফিরিয়া আসে অতীত সন্ধান।
বারান্দার কোণে জড়ায়ে বসি, চাহি নির্নিমেষে, জড়িত দৃষ্টিশূন্য হাসি।
চায়ের পেয়ালায় উঠে এক ফোঁটা জল,
প্রতিটি কণাতে বেজে উঠে অজস্র চল।
হে প্রেয়সী, তুমি কোথা? সেই যে বৃষ্টি রাতে,
চুপি চুপি ছুঁয়ে দিলে কাঁপিত হৃদপাতে!
হে সঙ্গিনী, স্মৃতি-মাঝারে কাঁদে তোমার ছায়া,
ভিজে উঠে ব্যাকুলতা, আর্ত হিয়ার মায়া।
বৃষ্টির কলতানে মিশে যায় আশা,
প্রেম না থাকিলেও রহে তাহার ভাষা।
হয়তো কোন এক সুদূর ঘরে,
তুমিও শোনাও এই বাদলের তরে।
এই বর্ষণ, এই নিস্তব্ধে কাঁপা পাতা,
জীবনের এক পুরাতন কথার বর্ণবাটা।
বিষাদ ও ভালোবাসা—দুই এরই সঙ্গ,
বর্ষা নামায়ে আনে হৃদয়-সুরভি রঙ্গ।
লেখক: মিফতাহুল জান্নাত মিশু
শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণি
সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট।