
নিশীথ গগনে মেঘের বাহার,
মৃদুমন্দ বায়ুরে নীরব হাহাকার।
নিভৃত নীলিমায় করুণ ছায়া,
উঠে হৃদয়ে নিঃশব্দ মায়া।
নীরব নিঝরিণী থেমে গেছে গান,
পল্লব কাঁপে, স্তব্ধ বনভূমি প্রাণ।
কুয়াশা মুড়ে দেয় দিগন্তের রেখা,
দাঁড়ায় সে একা-নিভৃতি যেখানে।
হাতে রঙিন ছাতা, পুষ্পলতা বোনা,
চাহনিতে তার যেন শত বছরের ধ্বনি শোনা।
আঁচলে লেগে থাকা শুকনো ফুলের গন্ধ,
সে কি স্মৃতির, না হারানো কোনও চন্দ?
পাখিরা দূরে গায়, ব্যাকুল ব্যথার গান,
উড়ে চলে তারা, রেখে হৃদয় নির্জন ও প্রাণহীন।
বাতাসে বাজে এক অভিমানের সুর,
সে বলে, “হে প্রিয়! কাহার তরে এই অপেক্ষা আজ চিরদুর?”
দিগন্ত চাহিয়া রয়, চোখে অশ্রুর রেখা,
সময় যেন থেমে আছে মেঘের গোপন লেখা।
তবু হৃদয়ে তার এক দীপ্তি জাগে—
আশার আলো জ্বলে কালো মেঘের ফাঁকে।
রবীন্দ্র-বেদনা আর নজরুল-আবেগে,
প্রেমের কবিতা বাজে নিভৃতে স্নিগ্ধ রোদের স্নেহে।
তুমি যদি চাও, ফিরে এসো সে পথে—
যেখানে একা দাঁড়ায় ভালোবাসা, অশ্রুবাষ্পের নীরব ব্যথাতে।
লেখিকা: মিফতাহুল জান্নাত মিশু
শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণি, সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ হাতীবান্ধা