হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে ছোট গল্পের সরল রসায়ন
অলোক আচার্য
প্রকাশ: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৩৬ পিএম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্রের পর বাঙালির একটি শ্রেণিকে বইমুখী করেছিল যে লেখক তিনি কিংবদন্তিতুল্য লেখক হুমায়ূন আহমেদ। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সাহিত্যে প্রবাদ পুরুষের নাম হুমায়ূন আহমেদ। যার সাহিত্য রচনায় পাঠক মুগ্ধ থেকেছে যুগের পর যুগ। বেঁচে থাকতে হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গস্পর্শী এবং তার মৃত্যুর পরেও তার জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি। বরং তাকে জানার আগ্রহ আরো বেড়েছে। 

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে নেত্রকোণা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফয়জুর রহমান আহমদ একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং মা আয়েশা ফয়েজ। তার পিতা ও মাতা দু’জনেই সাহিত্য অনুরাগী ছিলেন। তার অন্য দুই ভাই ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং আহসান হাবীবও সাহিত্য জগতে একেকজন ধ্রুবতারা। দুই ভাই ছাড়াও তার তিন বোনও রয়েছেন। হুমায়ুন আহমেদের ডাকনাম ছিল কাজল। তার বাবার ছিল বদলির চাকরি। সেই সুবাদে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেছেন। তবে তিনি ১৯৬৫ সালে বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। সেখান থেকে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার ফলাফল ছিল অসাধারণ। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন এবং নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিমার রসায়ন শাস্ত্রে লেখাপড়া করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেন। পরবর্তীতে লেখালেখি ও সৃষ্টিশীল কাজে সময় দিতে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। ১৯৭৩ সালে তিনি প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ত্ব প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর নাতনি গুলতেকিন খানকে বিয়ে করেন। হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিন আহমেদের তিন মেয়ে ও এক ছেলের নাম হলো- নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ, বিপাশা আহমেদ ও ছেলে নুহাশ হুমায়ূন। তিনি পরবর্তীতে অভিনেত্রী শাওনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের দুই ছেলে নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন রয়েছেন।

হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্ম বিশাল। তিনি একদিকে যেমন সৃষ্টি করেছেন অসংখ্যা উপন্যাস, অন্যদিকে ছোট গল্পও লিখেছেন প্রচুর। তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো রীতিমতো বাংলাদেশের দর্শকদের সিনেমাহলমুখী করেছিল।  

ছোটগল্প সংকলন: হুমায়ূন আহমেদের ছোটগল্প সংকলনগুলো হলো-শীত ও অন্যান্য গল্প, নিশিকাব্য, শ্রেষ্ঠ গল্প, জলকন্যা, অদ্ভূত সব গল্প, উদ্ভট গল্প, আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ, ছায়াসঙ্গী, লীলাবতীর মৃত্যু, সেরা দশ গল্প। 

হুমায়ূন আহমেদের উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- রুপা, একটি নীল বোতাম, পিঁপড়া, উনিশশ একাত্তর, একজন সুখী মানুষ, সাদা গাড়ি, দ্বিতীয় জন, অপরাহ্ন, জি¦ন কফিল, কবি, রহস্য, বীনার অসুখ, অয়োময়, সঙ্গিনী, নিউটনের ভুল সূত্র, অচিন বৃক্ষ, নিশিকাব্য, জলিল সাহেবের পিটিশন, ছায়াসঙ্গী, ভয়, কুকুর, কল্যাণীয়াসু, ফেরা, পাখির পালক, রহস্য, অঙ্ক শ্লোক, শবযাত্রা, সুখ অসুখ, জলছবি, মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ, সুলেখার বাবা, যন্ত্র, মোবারক হোসেনের মহাবিপদ, একটি ভয়ঙ্কর অভিযানের গল্প, অঁহক, জাদুকর, পিশাচ, সালাম সাহেবের পাপ, বিভ্রম, আয়না, কুদ্দুসের একদিন, ভূত মন্ত্র, পানি রহস্য, গুণীন, শ্যামল ছায়া, কৃষ্ণপক্ষ, গোপন কথা, চোখ, শিকার, নিমধ্যমা, সে, বুড়ি, ওইজা বোর্ড, শীত, বেয়ারিং চিঠি ইত্যাদি।

ছোটগল্প সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম আকর্ষণীয় শাখা। এখন বই পড়ুয়াদের যে অংশ রয়েছে তারা ছোটগল্পের পাঠক। যদিও ছোটগল্পের শাখা অণুগল্প এসেছে। কিন্তু তাতে ছোটগল্পের আবেদন কমেনি। একটি ছোট গল্পের যে বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা দরকার বিশেষত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই ছোটগল্প নিয়ে বলা কথঠñ ছোট প্রাণ, ছোট ব্যথা, ছোট ছোট দুঃখ কথা নিতান্তই সহজ সরল। আর শেষের বৈশিষ্ট্যটি হলো শেষ হইয়াও যেন হইলো না শেষ। হুমায়ূন আহমেদের ছোটগল্পগুলোতে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন সময়ের ঘটনাবলীকে তুলে এনেছেন ছোটগল্পে। তার ছোটগল্পগুলোও উপন্যাসের মতোই তুমুল জনপ্রিয়। খুব সহজ সাধারণ বিষয় তা কখনো প্রেম বা আবেগ উঠে এসেছে হুমায়ূন আহমেদের ছোটগল্পে। হিমু বা মিসির আলীর মতো কয়েকটি চরিত্র ছোটগল্পেও সৃষ্টি করেছেন। এতদিন ধরে ছোটগল্প যে কাহিনীর অলি-গলিতে অগ্রসর হচ্ছিল হুমায়ূন আহমেদ সেই ধারণা পাল্টে দিয়ে ছোটগল্পে এক নতুন বিপ্লব আনলেন। 

দেখা গেলো গল্পের শেষে পাঠকের মন প্রচন্ড রকম খারাপ হয়েছে গল্পের চরিত্রের জন্য। বেকার জীবন, চাকরি ও প্রেম এই কাহিনীর উপর ভিত্তি করে লিখেছেন- একজন ক্রীতদাস গল্পটি। গল্পে জরীর জন্য প্রথমে না হলেও একদম শেষে মন ঠিকই খারাপ হয়। মেয়েটি বুদ্ধিমতী এবং আবেগপ্রবণ না। সে তার প্রেমিকের ভবিষ্যত বুঝতে পেরেছিল। সে কারণেই বিয়ের সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা খারাপ যাওয়া প্রেমিককে বিয়ে করেনি। শেষ পর্যন্ত কঠিন সত্য এবং বাস্তবতায় সে মানিয়ে নিতে পেরেছিল। প্রেমিকও পেরেছিল জরী ছাড়া জীবনে অভ্যস্থ হতে। এ তো আমাদের সমাজে বহু হচ্ছে। হুমায়ূন আহমেদের বিরুদ্ধে সমালোকদের অভিযোগ হলো তিনি তার গল্পে মধ্যবিত্ত চরিত্রগুলো বেশি টেনেছেন। এ কথা পুরোপুরি অস্বীকার করার উপায় নেই। আবার এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে তার আগে এভাবে মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন চরিত্র কেউ টানতে পারেননি। তিনি সেই আবেগের জায়গাটিতেই কলম ধরেছেন। এসব ছোটগল্পে কখনো উঠে এসেছে প্রেম, ভাবাবেগ, কখনো একাকীত্ব, কখনো জীবনের রহস্য ইত্যাদি। খুব সাধারণ একটি ঘটনাও মূলত লেখকের লেখনীর মাধ্যমে অসাধারণ হয়ে ওঠে। 

হুমায়ূন আহমেদের ছোটগল্পগুলো তারই স্বাক্ষ্য দেয় রোমান্টিক গল্পগুলোর মধ্যে চমৎকার একটি গল্প হলো- ‘রূপা’ গল্পটি। হুমায়ূন আহমেদের ‘রূপা’ একটি বিখ্যাত চরিত্র। রূপা গল্পে একটি রোমান্টিক কাহিনী রয়েছে। যেখানে এক ভদ্রলোক তার জীবনের এমন একটি রোমান্টিক কাহিনী বর্ণনা করেছেন যে কাহিনীটি শুধু অপরিচিতদেরই বলা যায়। তিনি যাকে প্রথমে ভালোবেসেছেন তার স্ত্রী সেই মেয়েটি নন, অথচ তার স্ত্রী সেটি জানেনও না। তিনি ভুল ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে ভুল তরুণীর প্রেমের জন্য অপেক্ষা করেছেন। আবার সাদামাটা একটি ভালোবাসার গল্প হলো ‘ভালোবাসার গল্প’। গল্পে নীলু ও রঞ্জু নামের দুুটি তরুণ-তরুণীর প্রেম ও বিরহের ঘটনা লেখা হয়েছে। যেখানে শেষ পর্যন্ত দু’জনের সম্পর্ক পরিণতি পায় না। হুমায়ূন আহমেদের ছোটগল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি হলো ‘উনিশশ একাত্তর’ গল্পটি। গল্পে একজন সাধারণ আজীজ মাস্টারও শেষ পর্যন্ত মেজরকে উদ্দেশ্য করে থু থু নিক্ষেপ করে। সেই সময় একটি পর্যায়ে সাধারণ মানুষও অসাধারণ সাহসী হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত আজীজ মাস্টারকে সাহসী করে তুলেছিল পাকিস্তান মেজরের প্রতি ঘৃণা ও দেশের প্রতি ভালোবাসা। খুব অবলীলায় মানুষের জীবন তুলে এনেছেন গল্পের মাধ্যমে। সেই অসাধারণ দক্ষতায়ই তিনি জাকের সাহেবের মতো একজন সুখী মানুষের জীবন গল্পের মাধ্যমে তুলে এনেছেন। যে জাকের সাহেবের আদতে কিছু চাওয়ার নেই। কারণ চাওয়ার আগেই তিনি পেয়ে যান। তবে তিনি কিছুটা একাকীত্বে ভোগেন অথবা সবকিছু পাওয়ার কারণে আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন। 

এরকমভাবে গল্পে তিনি এমন সহজ বিষয়গুলো তুলে এনেছেন যে পাঠকমাত্রই তা পড়ে তৃপ্তি পায়। এই আকর্ষণই পাঠকদের তার লেখার দিকে টেনেছে পাগলের মতো। লেখকের বিখ্যাত বা পাঠক প্রিয় ছোট গল্পের মধ্যে রয়েছে ‘চোখ’ গল্পটি। ‘চোখ’ গল্পে সমাজের নিষ্ঠুরতার চিত্র অথচ বাস্তবতাই তুলে ধরা হয়েছে। এক কুখ্যাত চোর ধরা হয়েছে। তাদের বেঁধে রাখা হয়েছে। শাস্তি হিসেবে খেজুরের কাঁটা দিয়ে চোখ তোলা হবে। সেই নিষ্ঠুর দৃশ্য দেখতে গ্রামের মানুষ হাজির হয়েছে। এটা আপাত একটি নিষ্ঠুর দৃশ্য। কিন্তু এভাবে তুচ্ছ কারণে বা অকারণে শাস্তি তো সমাজে দেওয়া হচ্ছে। ‘খাদক’ গল্পটি যতটা ইন্টারেষ্টিং হয়ে সামনে এগিয়েছে শেষে গিয়ে খাদক মতি মিয়ার আর্থিক অবস্থার জন্য খারাপ লাগে। কারণ মতি মিয়া নামের চরিত্রটির কাজ হলো খাওয়া। তিনি প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন। গ্রামের মানুষের কাছে মতি মিয়া এক বিস্ময়ের নাম। বাইরে থেকে কেউ বেড়াতে এলে তাকে খুশি করতে মতি মিয়াকে হাজির করা হয় খাওয়ার জন্য। সেদিনই শুধু মতি মিয়ার কপালে ভালো খাবার জোটে। কিন্তু তার সন্তানেরা তখন ‘দেখক’ অর্থাৎ বাবার খাওয়া দেখার দর্শক। হুমায়ূন আহমেদের একটু বড় ধরনের গল্প ‘নিমধ্যমা’। এর বাইরে একটু হাসির গল্পও রয়েছে। যেমন- মন্ত্রীর হেলিকপ্টার গল্পটি। রহস্য গল্পের ভেতরেও কিছুটা মজা রয়েছে। ‘নিউটনের ভুল সূত্র’ গল্পটি পড়ে অন্তত সেরকমই মনে হয়েছে। গল্পে রুপেশ্বর নিউ মডেল হাইস্কুলের সায়েন্স টিচার হলেন অমর বাবু। বেশ কড়া ধরনের চরিত্র তিনি। ছাত্রছাত্রীরা তার ক্লাসে চুপ থাকে। বেশ দক্ষ শিক্ষক তিনি।  

তার কর্মের পরিধি যেমন বিশাল সেভাবেই তার পুরস্কার ও সম্মাননার তালিকাও দীর্ঘ। ১৯৭৩ সালে বাংলা কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য লেখক শিবির পুরস্কার, ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে তিনি মাইকেল মধুসুদন পদক, ১৯৯০ সালে তিনি হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৯৪ সালে দেশের দ্বিতীয় বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯২ সালের শঙ্খনীল কারাগার চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও তার উপন্যাস অবলম্বনে মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত অনিল বাগচীর একদিন (২০১৫) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ৪০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মরণোত্তর শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার লাভ করেন। তার আগুনের পরশমণি ও শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রের জন্যও এশাধিক বিভাগে তিনি পুরস্কার লাভ করেন। বিংশ শতাব্দির জনপ্রিয় বাঙালি ঔপন্যাসিকদের তিনি অন্যতম। যে মানুষটা জোৎস্না ভালবাসতো, বৃষ্টির জল ভালবাসতো, বৃষ্টি এলেই ভিজতে নেমে যেত তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই এক বর্ষায় শায়িত হয়েছেন তার প্রিয় নূহাশ পল্লীতে।

আজকালের খবর/আরইউ








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
নৌবাহিনী ও বামনা থানা পুলিশের সমন্বয়ে চেকপোস্ট পরিচালনা
দেবীদ্বারে ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ, এলাকায় আতঙ্ক
১২০০ টাকায় ডায়ালাইসিসের লক্ষ্যমাত্রা সরকারের: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে খালের ওপর ধসে পড়লো সেতু, যানচলাচল বন্ধ
ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে: ইসি সানাউল্লাহ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
২২ বছরেও হয়নি সাইলচর গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা, কঠোর নিরাপত্তা
জুলাই শহীদের তালিকা থেকে ৮ জনের নাম বাতিল, গেজেট প্রকাশ
আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে ফ্রান্স
জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নতির দিকে
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft