প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৮:২৭ পিএম

ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর শীতল ঝরনা খালের ওপর ধসে পড়েছে সেতু। এতে সেতুসংলগ্ন সড়কসহ আশপাশের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে নগরীতে টানা ভারী বৃষ্টির মধ্যে দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী বায়েজিদ বোস্তামি সড়কের স্টারশিপ এলাকায় শীতল ঝরনা খালের ওপর থাকা সেতুটি ধসে পড়ে। ফলে সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলছে। উভয়মুখী গাড়ি একই লেন দিয়ে চলাচল করায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। এদিন সকাল ৬টার দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
শীতল ঝরনা খাল দিয়ে তখন তীব্র স্রোতে পানি নামছিল। পানির তোড়ে সেতুটি ভেঙে যায়। উত্তর চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। মূলত চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা, অক্সিজেন মোড় হয়ে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িমুখী যানবাহন চলে বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক দিয়ে। সড়কটির দুই পাশে বেশ কিছু শিল্প-কারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেতু ভেঙে পড়ায় ওই সড়কসহ আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে যানজট।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার গভীর রাত থেকে নগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর থেকে টানা বর্ষণে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, চান্দগাঁও আবাসিক, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক, নন্দীরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বায়েজিদ বোস্তামি সড়কের স্টারশিপ এলাকায় শীতল ঝরনা খালের ওপর সেতুটি ভেঙে পড়ে।
এদিকে, বৃষ্টিতে সেতু ধসে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি বলেন, এটা ২০ ফুটের একটি ব্রিজ। এটা করতে হবে ৬০ ফুট। কিন্তু যে বাজেট দরকার, তা আমাদের নেই। এখানে প্রায় ৯ কোটি টাকা খরচ হবে। এখন নিজস্ব তহবিল থেকে করতে হবে।
তিনি বলেন, চলমান জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে শীতল ঝরনা খাল খনন করা হয়েছে। তাতে জলাবদ্ধতা কমেছে। কিন্তু নিচ থেকে মাটি ওঠানোর কারণে ব্রিজের নিচের মাটি সরে গেছে।
চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিফাতুল করিম চৌধুরী বলেন, এটি বহু বছরের পুরনো ইটের তৈরি সেতু। ১৯৮০ সালের দিকে করা হয়েছিল। পানির চাপে সেতুটি ভেঙে গেছে। এখন রাস্তার ওই অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নগরীতে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম আমবাগান আবহাওয়া অফিস। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয় ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
আজকালের খবর/ওআর