বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রাম: বৈষম্যের বাস্তবতা ও ন্যায়বিচারের দাবি
এ এইচ এম ফারুক
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল- খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। একদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার, অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক বৈষম্যের এক জটিল বাস্তবতা। এই অঞ্চলে বসবাসরত বাঙালি ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে জনসংখ্যার অনুপাত প্রায় সমান হলেও রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সুযোগ-সুবিধা, নেতৃত্ব, নিয়োগ ও সম্পত্তির অধিকার- সবক্ষেত্রে এক অসম প্রতিচ্ছবি বিদ্যমান। তার উপর সশস্ত্র সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ডে অস্থিও পরিস্থিতিতে জনগণের ভরসার জায়গা নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি। 

এই প্রবন্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কাঠামো, নির্বাচন, নিয়োগ, ভূমি অধিকার, আয়কর নীতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাস্তবতা নিয়ে বিশ্লেষণ করব। উদ্দেশ্য একটাই- বৈষম্য দূর করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক পার্বত্য সমাজ গড়ে তোলা।

৩৫ বছর ধরে নির্বাচনহীন জেলা পরিষদ; গণতন্ত্রও ভুলুণ্ঠিত:

পার্বত্য জেলা পরিষদে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর থেকে প্রায় ৩ যুগ তথা ৩৬ বছর ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটি চলছে অন্তর্বর্তীকালীন মনোনয়নভিত্তিক ব্যবস্থায়। জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, পার্বত্য জেলার “স্থায়ী বাসিন্দাদের” জন্য আলাদা ভোটার তালিকা তৈরির বিধান রয়েছে- যা বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এই অজুহাতে নির্বাচন বন্ধ রেখে সরকার মনোনীত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে পরিষদ পরিচালনা করছে। চেয়ারম্যান পদটি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত, অথচ সদস্যদের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার অনুপাতে বাঙালিদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে বাঙালি জনগোষ্ঠী কার্যত নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত।

মনোনয়নভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ, গণতন্ত্রের বদলে আনুগত্য:

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ ৩টি এবং শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স- এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদ দীর্ঘদিন ধরে শুধুমাত্র উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। একটি বৈসম্য দলিল পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (কথিত শান্তিচুক্তি) আইন অনুযায়ী। 

এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপজাতি সম্প্রদায় থেকে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একবার মাত্র বাঙালি জনপ্রতিনিধি হিসেবে খাগড়াছড়ির তৎকালীন সংসদ সদস্য জনাব ওয়াদদু ভূইয়া নিয়োগ পেয়েছিলেন। অপরদিকে পাহাড়ের অন্যতম সমস্যা ভূমি বিরোধ। 

এই ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনেও স্থানীয় পার্বত্য বাঙালি প্রতিনিধি অনুপস্থিত। সরকারি আমলা ও বিচারপতির বাহিরে গুরুত্বপূর্ণ এ কমিশনের সকল সদস্যই উপজাতি সম্প্রদায়ের। অথচ এই অঞ্চলে বাঙালির সংখ্যা ৫১% এর বেশি।

২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী: খাগড়াছড়ি জেলায় বাঙালি ৫১.০৮ শতাংশ এবং উপজাতি ৪৮.৯২ শতাংশ। বান্দরবানে বাঙালি জনগোষ্ঠি ৫৮.৮৫ শতাংশ এবং উপজাতি     ৪১.১৫ শতাংশ। অপরদিকে রাঙামাটিতে বাঙালি ৪২.৪২ শতাংশ এবং উপজাতি ৫৭.৫৮ শতাংশ।
এই অনুপাতে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বাঙালির সংখ্যা বেশি। অথচ মূল নেতৃত্বে তাদের অংশগ্রহণ প্রায় নেই। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে বঞ্চনার ক্ষোভ তৈরি হয়ে আছে। এর থেকে উত্তরণে সরকারকে উপযুক্ত ভূমিকা রাখা জরুরী।  

প্রস্তাবনা:

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ সকল সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। প্রচলিত ভোটার তালিকায় গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। জনসংখ্যার অনুপাতে সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। বাঙালি ও উপজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে মনোনয়ন দিতে হবে।

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন; একপাক্ষিক কাঠামো:

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠিত হয়েছে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে, যার সঙ্গে রয়েছেন- আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান বা প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট সার্কেল চীফ (যারা নিজেদের এখনো রাজা হিসেবে পরিচয় দিতে সাচ্ছ্যন্ধবোধ করেন), বিভাগীয় কমিশনার বা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার। এই কমিশনে বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি নেই। অথচ ভূমি বিরোধের বড় অংশই বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত।

প্রস্তাবনা:
তিন পার্বত্য জেলা থেকে অন্তত তিনজন বাঙালি সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিতে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

নিয়োগে বৈষম্য; সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও বাঙালিরা পিছিয়ে:

পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনস্থ বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার অনুপাত প্রায় সমান হলেও বাঙালিদের অংশগ্রহণ মাত্র ৩০%, যেখানে উপজাতিদের ৭০%। 
২০০২-২০০৮ সালে বিএনপি সরকারের সময় নিয়োগে বাঙালি-উপজাতি অনুপাত ছিল ৪৮:৫২। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এই ভারসাম্য আবার ভেঙে দেয়।

প্রস্তাবনা:

নিয়োগে জনসংখ্যার অনুপাতে কোটা নির্ধারণ করতে হবে। সকল সম্প্রদায়ের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

আয়কর নীতি; বৈষম্যের আর্থিক প্রতিচ্ছবি:

পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি ব্যবসায়ীদের আয়কর দিতে হয় না। অথচ বাঙালি ব্যবসায়ীদের ৭% পর্যন্ত আয়কর দিতে হয়। উদাহরণ: ১ কোটি টাকার কাজ করলে বাঙালি ঠিকাদারকে ৭ লক্ষ টাকা আয়কর দিতে হয়, উপজাতি ঠিকাদারকে দিতে হয় না। এই বৈষম্য শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি প্রতিযোগিতায় বাঙালিদের পিছিয়ে দেয় এবং সরকারের রাজস্ব হারায়।

প্রস্তাবনা:

সকল সম্প্রদায়ের জন্য আয়কর নীতিতে সমতা আনতে হবে। উপজাতি ও বাঙালি উভয়ের জন্য একই হার প্রযোজ্য হওয়া উচিত। অথবা সকলকে আয়করমুক্ত সুবিধা দিতে হবে। আইনগতভাবে কর ছাড়ের বিধান স্পষ্ট করতে হবে, যদি তা দেওয়া হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (ঘইজ)-এর উচিত পার্বত্য অঞ্চলের জন্য একটি স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করা। 

জমি ক্রয়-বিক্রয়ে বৈষম্য; নাগরিক অধিকার সংকুচিত:

পার্বত্য চট্টগ্রামে “স্থায়ী বাসিন্দা” না হলে জমি ক্রয়-বিক্রয় করা যায় না। স্থায়ী বাসিন্দার সনদ যাদের কাছ থেকে নিতে হয়, তাদের মধ্যে ৩ সার্কেল চিফ উপজাতি, অধিকাংশ হেডম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানও উপজাতি। 
এতে বাঙালিরা জমি ক্রয়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। অথচ উপজাতিরা দেশের যেকোনো স্থানে জমি কেনা-বেচায় কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।

প্রস্তাবনা:
সারা দেশেরমত এনআইডি ভিত্তিক জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। জমি অধিকারকে নাগরিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

চাঁদাবাজি ও নিরাপত্তা; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা:

পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় চাঁদাবাজি সীমিত ছিল সড়কে। এখন তা বাজার, দোকান, ব্যবসায় পর্যন্ত বিস্তৃত। অবৈধ সশস্ত্র সংগঠন, অপহরণ, চাঁদাবাজি—সবকিছু নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিহার্য।

প্রস্তাবনা:
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ও কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত করতে হবে।
সশস্ত্র সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
চিরুনী অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। 

সম্প্রীতির বাস্তবতা; বিভাজন নয়, সহাবস্থান:
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বহু বছর ধরে সহাবস্থান রয়েছে। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গভীর। এই সম্পর্ককে বিভাজনের রাজনীতির মাধ্যমে নষ্ট করা যাবে না।

আহ্বান:
সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্য নয়, সমতা ও সম্প্রীতির ভিত্তিতে নীতি প্রণয়ন করতে হবে। সর্বশেষ উপসংহাওে বলা যায়- এক দেশে দুই নীতি নয়, সমতার ভিত্তিতে পথচলা জরুরি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা আমাদের সামনে একটি কঠিন প্রশ্ন তুলে ধরে—একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে, যেখানে সংবিধান সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করে, সেখানে কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে এমন বৈষম্য টিকে থাকতে পারে?

বাঙালি ও উপজাতি- উভয় জনগোষ্ঠীই এই দেশের নাগরিক, এই দেশের সন্তান। কিন্তু প্রশাসনিক কাঠামো, নিয়োগ, ভূমি অধিকার, আয়কর নীতি, এমনকি নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যে বৈষম্য চলছে, তা শুধু অমানবিক নয়, বরং সাংবিধানিক নীতিমালার পরিপন্থী।
এই বৈষম্য শুধু একটি জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে দিচ্ছে না, বরং পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিভাজনের রাজনীতি, একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ, এবং গণতন্ত্রহীন মনোনয়ন ব্যবস্থা- সবকিছু মিলিয়ে একটি অস্বচ্ছ, অনৈতিক এবং অগণতান্ত্রিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম হোক একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য, এবং সম্প্রীতিপূর্ণ অঞ্চল। যেখানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমান সুযোগ পাবে, নেতৃত্বে অংশ নিতে পারবে, এবং রাষ্ট্রীয় নীতিতে তাদের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত হবে।

এই প্রবন্ধ কোনো বিদ্বেষ নয়, বরং একটি ন্যায়ের দাবি। আমি উপজাতি ভাই-বোনদের বিরুদ্ধে নই- আমি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমি চাই, পাহাড়ে বসবাসরত সকল মানুষ- বাঙালি হোক বা উপজাতি সমান মর্যাদা নিয়ে বাঁচুক, সমান সুযোগ নিয়ে এগিয়ে যাক।

এক দেশে দুই নীতি থাকতে পারে না। এক জাতিকে বৈসম্যেনর মধ্যে রেখে অন্যদের সুবিধা দিয়ে বঞ্চনার যে নীতি- এমন রাষ্ট্রীয় নীতি কখনোই টেকসই হতে পারে না।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সেখানকার বৈসম্যমূলক সকল আইন সংস্কার, নীতিগত সমতা, এবং গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করার উপর। এখনই সময়- বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে, পাহাড়ে ন্যায়ের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার।


লেখক: সাংবাদিক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

 
আজকালের খবর/ এমকে








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
দেশে সোনার দাম বাড়ার রেকর্ড
দিপু দাসের পরিবারকে আর্থিক ও কল্যাণমূলক সহায়তা দেওয়া হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
১শ ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মোহনগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন হচ্ছে এমন তথ্য জানা নেই : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ-গুলি, নিহত ৫
শেখ হাসিনা-সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিচার শুরু
নিখোঁজের ২৩ দিনেও সন্ধান মিলেনি চান্দিনার রাসেল মুন্সির
হাসনাত আব্দুল্লাহর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন শহিদ পরিবার
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়লে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft