প্রকাশ: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:৩২ পিএম

ছোট্ট একটি নাম সমু। বাবা মায়ের ভালোবাসা আদর যত্নে একটু একটু করে বেড়ে উঠছিলো সমুর জীবন। বুদ্ধিমত্তা ভালো থাকায় কবিতাও লিখতেন সমু। স্কুলে খেলার সাথীদের সঙ্গে আর কখনো দেখা হবে না সমুর।
স্কুলে ভালো রেজাল্ট ও ভদ্রতায় গুডবয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখেমুখে সমু। এই নামটি স্কুলে বেশ পরিচিত ছিলো। সমুর ইচ্ছে ছিলো বড় হয়ে দেশের জন্য কিছু করার। কবিতার পাশাপাশি বেশ ভালো ফুটবলও খেলতো সমু। কে জানতো ফুটবল খেলতে গিয়ে জীবন প্রদীপ জ্বলে ওঠার আগেই নিভে যাবে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সমু চন্দ্র কর্মকারের।
সমু নন্দীগ্রাম হিন্দুপাড়ার সমর চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। সমু নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে হঠাৎ আঘাতপ্রাপ্ত হয় সমু। পরিবার তা জানতে পেরে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বগুড়া টিএমএসএস হাসপাতালে পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এর কিছুদিন অতিবাহিত হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে সমু সকলের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যায়।
ষষ্ঠ শ্রেণির কোমলমতি এই শিক্ষার্থী সমুর অকাল মৃত্যুতে পুরো নন্দীগ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেক গুণীজনরা ফেসবুকে শোক প্রকাশ করে পোস্ট দেন। সবাই সমুর আত্মার শান্তি কামনা করছেন।
আজ বুধবার দুপুরে কুচাইকুড়ি মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
আজকালের খবর/ওআর