প্রকাশ: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:২৬ পিএম

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর লিগ্যাল এইড বাধ্যতামূলক করেছি, লিগ্যাল এইডের জন্য ১১ রকম মামলা নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। আগে একজন জজ লিগ্যাল এইড দেখতেন, এ জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মামলা জট কমাতে পূর্ব-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঠিক মত এটা করতে পারলে মামলা জট কমার পাশাপাশি হয়রানি কমবে এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা সিভিল আদালত ও ক্রিমিনাল আদালত আলাদা করেছি। বর্তমান ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি এক্ট এবং নারী ও শিশু আইন নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। আমরা যেসব পরিবর্তন করেছি পরবর্তীতে রাজনৈতিক সরকার সচল রাখলে মানুষ ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। এছাড়া লিগ্যাল এইডের বিষয়ে মানুষকে জানাতে হবে।
আজ বুধবার বিকেলে সিলেটের একটি অভিযাত হোটেলে আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এ উল্লিখিত মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বাধ্যতামূলক বিধান কার্যকর উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধন উপলক্ষে জাতীয় আইন সহায়তা প্রদান সংস্থা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট (বিএমজেড) এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে অ্যাক্সেস টু জাস্টিস ফর উইমেন প্রজেক্ট, জিআইজেড বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে সম্প্রসারন এবং অধিকতর গতিশীল, জনবান্ধব ও সহজলভ্য করতে গত ১ জুলাই আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই অধ্যাদেশের তফসিলভূক্ত বিষয়গুলোতে (যেমন-পারিবারিক বিরোধ, পিতা-মাতার ভরণপোষণ, বাড়ি ভাড়া, যৌতুক ইত্যাদি) ১২টি জেলায় মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বাধ্যতামূলক বিধান আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকরের দিন ধার্য হয়েছে। এর মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থায় এক নব অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আজকালের খবর/ওআর