প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম

২০০৮ সালে দেশের প্রথম ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বাসিন্দা শারমিন বেগমের নাম ভুলবশত ‘ডলি বেগম’ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তিনি ও তার পরিবার।
শারমিন বেগমের অভিযোগ, তিনি প্রকৃত নাম সংশোধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার দরখাস্ত করেছেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে দালালের পরামর্শে অর্থও ব্যয় করেছেন। কিন্তু, আজও সংশোধন হয়নি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম। জন্মসনদ, দাখিল পরীক্ষার সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, বিবাহ সনদ, সন্তানদের জন্মসনদসহ প্রায় সব নথিপত্রেই তার নাম ‘শারমিন বেগম’। কিন্তু, ভোটার আইডি কার্ডে নাম এসেছে ‘ডলি বেগম’। এর ফলে সন্তানদের পড়াশোনা, জমি-জমা সংক্রান্ত কাজসহ নানাবিধ সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রমে তিনি চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সরজমিনে তদন্ত করলে সিংহশ্রী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ আজকালের খবরকে বলেন, আমরা সবাই জানি তিনি প্রকৃতপক্ষে শারমিন বেগম। ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় নির্বাচন কমিশনের ভুলেই নাম ডলি বেগম হয়ে গেছে। এটি তার ব্যক্তিগত দোষ নয়। কর্তৃপক্ষের দ্রুত তার নাম সংশোধন করা উচিত।
এলাকার স্থানীয় মেম্বার মিজান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও জানিয়েছেন, শারমিন বেগম মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে নামের ভুলের কারণে সামাজিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে তিনি অসংখ্য সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
গাজীপুরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম আজকালের খবরকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। যেহেতু নাম ভুল এসেছে এবং তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণপত্র রয়েছে। উনি আবেদন করেছেন। ঢাকাস্থ মহাপরিচালক (DG) অফিসে যোগাযোগ করলে সমাধান হবে।
সচেতন মহল বলেন, শুধু গাজীপুর নয়, সারাদেশেই এমন হাজারো মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ও তথ্য ভুলের কারণে ভোগান্তিতে রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনকে আরও সহজ ও দ্রুত কার্যকর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভুক্তভোগী শারমিন বেগম এবং তার পরিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, অবিলম্বে তার প্রকৃত নাম ‘শারমিন বেগম’ জাতীয় পরিচয়পত্রে সংশোধন করে তাকে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
আজকালের খবর/ওআর