নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধে শিক্ষা
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৬:২৭ পিএম
মূল্যবোধ হলো এমন কিছু দিকনির্দেশনা, যা অনুসরণের মাধ্যমে একজন মানুষ খুব সহজে নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। জন্মগতভাবে কারো মধ্যে এই গুণগুলো আপনা-আপনি আসে না, বরং জন্মের পর একজন মানব শিশু তার পারিপার্শ্বিক শিক্ষা ও জীবনের অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে এ বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে থাকে। সেক্ষেত্রে একটি শিশুকে তার শিক্ষার প্রারম্ভিক স্তর থেকেই নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করাটা অতি জরুরি। শিক্ষা মানুষকে সমাদৃত করে, মানুষের মধ্যে চেতনাবোধ জাগ্রত করার জন্য কাজ করে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা, বাস্তববাদী ও যুক্তিবাদী করে গড়ে তোলা। কিন্তু এ কথা আবার সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। অনেক ব্যক্তি আছেন, যারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেননি, কিন্তু বাস্তববাদী ও যুক্তিবাদী হিসেবে সমাজে সমাদৃত হয়ে আছেন সম্মানের পাত্র হিসেবে। তবে এ ক্ষেত্রে স্বশিক্ষাকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করার বা খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা, শিক্ষিত হলেই যে একজন মানুষের ভেতরের ভালো ভাবনাগুলো জাগ্রত হবে, সেটিও ঠিক নয়। শিক্ষার আরো একটি কাজ হলো মানুষকে আলোকিত করা, আলোকিত সমাজ গঠন করা। আবার অনেক অশিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে আমরা শিক্ষিত একজন মানুষের চেয়েও বেশি মেধা ও মননশীল গুণাবলি খুঁজে পেতে পারি। পৃথিবীতে অনেক মনীষী আছেন, যারা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেননি। তবে সব ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমকে অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রথাগত যে শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত আছে, তাতে প্রকৃত সৃজনশীল প্রতিভাধর মানুষ তৈরি হচ্ছে খুব কম। এর মূল কারণ হচ্ছে, মননশীলতা ও উন্নত চিন্তাধারা সৃষ্টির বিষয়টি পুরোপুরি অবহেলা করা হয়েছে বা কম গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। আরেকটি বিষয় এখানে বিশেষভাবে বলা প্রয়োজন, তা হলো শিক্ষা যে গবেষণার বিষয় হতে পারে, সে ধরনের মনোভাব এখনো পর্যন্ত আমাদের মধ্যে খুব একটা গড়ে ওঠেনি বা এই প্রবণতা খুব একটা তৈরি হয়নি। একটি জাতি শিক্ষায় যত উন্নত, সে জাতির উন্নতির মাত্রাও তত বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস না করে, তাদের সঠিকভাবে শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার।

শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ, যাতে যেকোনো ধরনের অন্যায়, অবিচার আর অশুভ তৎপরতার ওপর মানবতা ও মানবিকতার আধিপত্য বজায় থাকে। যেকোনো মূল্যে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধকে সমুন্নত না রাখা গেলে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। উদারনৈতিক শিক্ষা এবং উদার সাংস্কৃতিক জীবনাচার হচ্ছে ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, সামাজিক বিজ্ঞানের মতো কিছু একাডেমিক বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা, যা আঞ্চলিকতা, গোঁড়ামি, পুরনোকে আঁকড়ে থাকা এবং অযৌক্তিক মতাদর্শ থেকে মানুষকে মুক্ত করে যৌক্তিক করে তুলতে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষিত মানুষ ইনসাফ সম্পর্কে সচেতন থাকেন, কর্মকাণ্ডে তারা বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। উদার শিক্ষা হলো শিক্ষার একটি দর্শন, যা বিস্তৃত জ্ঞান ও হস্তান্তরযোগ্য দক্ষতার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতাবান করে এবং শক্তিশালী মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও নাগরিক সম্পৃক্ততার একটি শক্তিশালী অনুভূতি তৈরি করে; যা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে শুধু নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে শিক্ষার বহুমুখীকরণের দিকে নিজেকে নিয়োজিত রাখে। সাধারণত আমরা উদার শিক্ষার পরিধিকে অনেক বেশি বৈশ্বিক এবং বহুত্ববাদী হিসেবে দেখি। বিশ্বের অনেক শিক্ষাবিদ মানবিক ও উদারনৈতিক শিক্ষার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে ঐতিহ্যবাহী ও মূল্যবান এই শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, বর্তমান বিশ্বে উদারনৈতিক শিক্ষা আক্রমণের মুখে রয়েছে। পেশাগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করে। কিন্তু উদার শিক্ষা শিক্ষার্থীদের তাদের অবসর সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত করে, যাতে তারা জীবনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দ্বন্দ্বগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকে এবং তাদের কর্ম ও প্রেরণার উৎস সম্পর্কে সচেতন থাকে।

দ্য ভ্যালু অব লিবারেল আর্টস এডুকেশন-এর লেখক জেমস এঙ্গেলের মতে, উদার শিক্ষা একটি শিক্ষিত এবং চিন্তাশীল নাগরিক সমাজ বিনির্মাণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরিতে সহায়তা প্রদান করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্বে মানবসভ্যতা চোখ-ধাঁধানো উদ্ভাবন এবং আবিষ্কারের মাধ্যমে বস্তুগত উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছেছে। মানুষ ছুটছে পুঁজির সর্বোচ্চকরণ এবং বহুমাত্রিক ভোগের পেছনে। কিন্তু মৌলিক মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সমাজ থেকে খুব দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে, যা সত্যি খুবই উদ্বেগজনক। মানবিক মূল্যবোধকে পুষ্ট করার জন্য, বহুমাত্রিক চিন্তার ক্ষমতাকে বিকশিত করার জন্য আমাদের একটি নির্দিষ্টসংখ্যক দার্শনিকের প্রয়োজন এবং একই সঙ্গে আমাদের মনে রাখা উচিত যে ইতিহাস অধ্যয়নকারী ও ইতিহাসসচেতন একটি নির্দিষ্টসংখ্যক লোক থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা বর্তমানে এসবের বিপরীতে খুব বেশি চাকরি তৈরি করতে পারছি না। ফলে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন ও একটি চাকরি নিশ্চিত করার জন্য শুধু প্রযুক্তি শিক্ষা দেয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের হাত ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানব বুদ্ধিমত্তাকে অনেকটা প্রতিস্থাপন করে ফেলেছে। একই সঙ্গে এটি আমাদের নজরদারি পুঁজিবাদ এবং বিগ-ডেটা অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যা মানবসভ্যতার অস্তিত্বের জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে বলে স্টিফেন হকিং গভীর উদ্বেগ জানিয়ে অনেক আগেই বলে গেছেন। একসময় বেশির ভাগ মেধাবী ছাত্র ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য এবং অন্যান্য সামাজিক ও মানবিক বিষয় অধ্যয়নের জন্য পছন্দের শীর্ষে রাখত। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা চাকরিমুখী, পেশাগত ও বৃত্তিমূলক বিষয়গুলোকে প্রধান্য দিচ্ছে। পরিণতিতে আমরা এমন কোনো সমাজবিজ্ঞানী পাচ্ছি না, যারা সমাজকে কল্যাণের পথ দেখাতে পারেন। 

শুধু তা-ই নয়, আমরা মানবসম্পদের উন্নয়নে তেমন কোনো বিনিয়োগ করছি না, যা মহাবিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, শুধু একজন মানুষ সমগ্র বিশ্বকে ইতিবাচক বা নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের সর্বোচ্চ স্থান হলো বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অবকাঠামো, পাঠ্যক্রম, পাঠদান পদ্ধতি, পরিবেশ, গবেষণা ও লাইব্রেরি সুবিধার দিক থেকে বিশ্বমানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো অবস্থানে একেবারেই নেই। যে মালয়েশিয়া থেকে একসময় শত শত শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়তে আসত, এখন শত শত বাংলাদেশিই সেই মালয়েশিয়ায় পড়তে যাচ্ছে। এটি সম্ভব হয়েছে শিক্ষা খাতে সে দেশের সরকারের শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে। আমরা অনেক অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে জনগণের কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছি ইচ্ছাকৃতভাবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে অর্থ ব্যয় করছি না। কারণ কোনো শাসকই চান না জনগণ শিক্ষিত হয়ে তাদের চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য হুমকি হয়ে উঠুক। বরং তাদের জন্য দেশের মানুষকে নানাভাবে দাবিয়ে রেখে উন্নয়নের নামে লুটপাট আর অর্থপচারই অনেক সহজ ও লাভজনক। উদার শিক্ষা আমাদের সব পেশা ও শ্রেণির মানুষকে শেখায় কীভাবে মনের কথা বলতে হয় এবং কীভাবে মানবজীবনের অত্যন্ত মূল্যবান মূল্যবোধগুলোর উপাদানগুলোকে জানতে হয় ও বুঝতে হয়। আমাদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে আরো আকর্ষণীয়, বর্ণিল, অর্থবহ ও মানবিক করার জন্য আমাদের অবশ্যই মানবিক ও উদারনৈতিক শিক্ষাকেও এগিয়ে নিতে হবে। আমরা যদি গভীরভাবে চিন্তা করি, তাহলে দেখতে পাব যে প্রযুক্তি ও বিশ্বায়ন প্রকৃতপক্ষে মানবিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।

সর্বোপরি লিবারেল এডুকেশন আধ্যাত্মিক ও অবস্তুবাদী বিষয়কে জানার মানুষের যে চিরন্তন আগ্রহ, সেটিকেই জাগ্রত করতে এবং একটি মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে সহায়তা করতে পারে। যে কোনো সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব এবং সমাজের অন্যান্য অনুমোদিত ব্যবহারের সমন্বয়ে মানুষের মধ্যে স্নেহ, মায়া-মমতা, সততা, সম্প্রীতি প্রভৃতি সৃষ্টি হয়। এমন হলে সেখানে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ বিদ্যমান আছে বলে মনে হয়। নৈতিক আদর্শ সংবলিত সমাজে কোনো অনাচার থাকবে না। ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা, শোষণ, স্বার্থপরতা-এসব কুপ্রবৃত্তি থেকে সমাজ মুক্ত থাকলেই তখন নৈতিকতার আদর্শ প্রতিফলিত হয়। সব ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত জীবনই আদর্শ জীবন। ন্যায়নীতি থেকে বিচ্যুত জীবন কখনোই আদর্শরূপে গণ্য হতে পারে না। শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিক শিক্ষাকে এমনভাবে যোগ করতে হবে, যাতে এ নৈতিক মূল্যবোধের বার্তা শিক্ষার্থীদের কাছে আরো সহজ, সরল ও আকর্ষণীয় উপায়ে পৌঁছানো যায়। এর জন্য ভালো বই, নৈতিকতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও অন্যান্য মাধ্যমও ব্যবহার করা যেতে পারে। মানুষের জীবনে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও মর্যাদা প্রদানের জ্ঞান থাকলে তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সমাজ, এমনকি দেশের শান্তিও বিরাজমান থাকবে। ভোগবাদী বিশ্বে নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটছে প্রতিনিয়ত, অথচ অনাগত ভবিষ্যৎকে সফল ও সুন্দর করে তুলতে নৈতিকতার চর্চা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কেবল শিক্ষাই পারে যথার্থ নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে। শিক্ষার সাহায্যে মূল্যবোধের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি, দেশ ও সমাজের কল্যাণসাধন হয়। তাই আমাদের এমন শিক্ষাই গ্রহণ করতে হবে। সুশিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার সাহায্যে মানবিকতার উন্মেষ ঘটিয়ে নিষ্কলুষ বিশ্ব নির্মাণের পথে অগ্রসর হতে হবে।

রায়হান আহমেদ তপাদার: গবেষক ও কলাম লেখক।   

আজকালের খবর/আরইউ








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
তিন দিন এগোল রাকসুর ভোট
রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
দুঃখপ্রকাশ করলেন ডিএমপি কমিশনার, তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের পরিচালনায় উডব্লক ছাপচিত্র কর্মশালার সমাপণী
আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখে সুনাম কুড়িয়েছে পুলিশ সদস্য রিটন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
গাজীপুরে বিএনপি নেতা আল আমিনের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ
বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
সংস্কারে আর ছাড়ের পক্ষে নয় বিএনপি
মধুখালীর বিভিন্ন জলাশয়ে ৩৩৫ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft