আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখে সুনাম কুড়িয়েছে পুলিশ সদস্য রিটন
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪২ পিএম
কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া বাজারে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল রিটন দে। আগুনের তীব্রতা তার সাহস এবং মানবতার কাছে হার মেনেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে তার একাগ্রতা দেখে রীতিমত মুগ্ধ হয়েছেন স্থানীয়রা। 

ইতিমধ্যে রিটন দে'র একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে  দেখা যায় কনস্টেবল রিটন দে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। একজন পুলিশ কনস্টেবলের এমন মানবিকতা পুলিশের ভাবমুর্তি ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সচেতন মহল ।

জানা যায়, গত ২১ আগষ্ট সকালে হঠাৎ  গর্জনিয়া বাজারে বিদ্যুৎ লাইনের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে । তখন আগুন নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সাথে যোগ দেন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ। এসময় আগুন নিয়ন্ত্রণে কনস্টেবল রিটনের ভূমিকা দেখে বিস্মিত হন স্থানীয়রা। কনস্টেবল রিটন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শাবল দিয়ে দোকানের সিলিং ভেঙ্গে উপরে উঠেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহসী ভূমিকা রাখেন। এতে জামান ট্রেডার্স নামের একটি বড় চালের দোকানের আংশিক পুড়ে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ও নাইক্ষ্যংছড়ি ফায়ার সার্ভিস একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে পুরো গর্জনিয়া বাজার রক্ষা পায়।

জামান ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ জামান বলেন, হঠাৎ করে আগুন লেগে দোকানের ভেতরে থাকা বেশ কিছু মালামাল পুড়ে যায় । এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের দ্রুত প্রচেষ্টায় বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রেহাই মিলেছে  । বিশেষ করে পুলিশ কনস্টেবল রিটন কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই, কারণ সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন। এমন পুলিশই আমরা গর্জনিয়াবাসি চাই। 

এব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল রিটন দে বলেন, ঘটনার খবর শুনে আইসি স্যারের নির্দেশে আমরা একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যাই এবং স্থানীয় লোকজন ও ফায়ারসার্ভিসের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। তখন আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। আমি মনে করি একজন পুলিশ সদস্য হিসাবে এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। ভাইরাল হওয়া ভিডিও সংক্রান্তে তিনি বলেন- আমি আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিলাম। আমার অজান্তে কে বা কারা ভিডিওটি করেছে আমি জানিনা।  

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহেল জানান, পুলিশ সদস্য রিটন দে অসীম সাহস ও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিটি পুলিশকে রিটন দে'র মতো হওয়া উচিত। তাহলে দেশে আর কোনো অপরাধ থাকবেনা এবং সাধারণ মানুষের  শতভাগ আস্থা ফিরতে পুলিশের উপর। 

আজকালের খবর/ এমকে








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
তিন দিন এগোল রাকসুর ভোট
রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
দুঃখপ্রকাশ করলেন ডিএমপি কমিশনার, তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের পরিচালনায় উডব্লক ছাপচিত্র কর্মশালার সমাপণী
আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখে সুনাম কুড়িয়েছে পুলিশ সদস্য রিটন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
গাজীপুরে বিএনপি নেতা আল আমিনের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ
বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
সংস্কারে আর ছাড়ের পক্ষে নয় বিএনপি
চীন সফরে গেলেন এনসিপির ৮ নেতা
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft