সবার আগে দরকার মানসিকতার সংস্কার
এস এম মুকুল
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
আমি ভাগ্যক্রমে এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করেছি- যে দেশের মানুষ নিজের দেশকে ভালোবাসতে জানে না! তাদের মাঝে দেশপ্রেম নেই। দেশপ্রেম আসলে কেমন সেটা পরে বলছি, তার আগে দায় স্বীকার নিই- এদেশে জন্মগ্রহণ করা আমি দুভার্গ্য বা সৌভাগ্যক্রমে না বলে কেন ভাগ্যক্রমে বললাম। তার কারণ হলো- সৌভাগ্য বলতে পারলে ভালো ছিলো- একটা স্বাধীন দেশের জনগণের এত মতবিরোধ তা বলতে দেয়নি। কিন্তু দুর্ভাগ্য বলাটা আমার কাছে সমীচিন মনে হয়নি। কারণ দেশটি আমার। আমি জন্মেছি এই দেশের কোলে। এই দেশের আলো বাতাসে, সুযোগ-সুবিধা ও স্বাধিনতা যতটুকু আছে তা ভোগ-উপভোগ করেই আমি চলছি। আমি কি আমার মা’কে বলতে পারি তোমার গর্ভে জন্ম নেওয়াটা আমার দুর্ভাগ্য! কখনোই পারি না। কারণ আমার মা সেরা মা। দেশও আমার কাছে তেমনই একটা কিছু। বরং মা তো একটা ব্যক্তি সত্তা। তিনি চেহরায়, চরিত্রে, চলনে-বলনে, আদর্শে একেবারেই নিজস্ব। কারো দ্বারা প্রভাবিত না। অপরপক্ষে দেশ হচ্ছে একটা সামষ্টিক বৈশিষ্ট্য। চোর-ডাকাত-পুলিশ-ইমাম-শিক্ষক-রাজনীতিকসহ সমাজের সর্বস্তরে ব্যক্তির আদর্শ ও আচরণগত বৈশিষ্ঠ্য হচ্ছে দেশ। অতএব দেশের তো নিজস্ব স্বকীয়তা নাই। তার স্বকীয়তা হচ্ছে মানুষ বা জনগণ। সুতরাং জনগণের চরিত্রই হচ্ছে দেশের চরিত্র। আশাকরি ব্যাপারটা বুঝাতে পেরেছি। একারণেই আমি ভাগ্যক্রমে এই দেশে জন্মেছি কথাটি বললাম। কারণ ভালো-মন্দ যাই হোক আমার ভাগ্যে এই দেশ ছিলো। প্রিয় জন্মভুমি বাংলাদেশ- তোমাকে লাল সালাম। ভালোবাসি বাংলাদেশ, ভালোবাসায় বাংলাদেশ।

আচ্ছা এবার দেশপ্রেমের কথা বলি। ধরুন বাংলাদেশের এক লোক আমেরিকায় থাকে। ভারতেরও একজন আমেরিকায় থাকে। তো দুজনেই স্বদেশের পরিবার পরিজনদের সাথে ওখান থেকে ফোনে কথা বলে। ধরুন বাংলাদেশি লোকটি ফোন করে পরিবার- স্ত্রী, সন্তান, বাবা, মা, ভাই, বোন, খালা, মামা, চাচা, কাজের বুয়া খালা এমনকি সে মুহূর্তে প্রতিবেশি জরিনা বুবুও যদি ঘরে থাকে তার সাথে কথা বলে। সুখ-দুঃখের খবর নেয়। ভারতীয় লোকটিও কিন্তু কথা বলে। তবে ব্যতিক্রম হলো- বাংলাদেশের লোকটি সেখান থেকে নিজের টাকা খরচা করে এবং সময় নষ্ট করে এত লোকের সাথে লম্বা সময় নিয়ে কথা বলে। আর ভারতীয় লোকটি সেখান থেকে ফোন করে একটি নাম্বার জানিয়ে বলে- আমি এই নাম্বারে আছি, আমাকে ফোন করো, কথা বলবো। এখানেই হচ্ছে দেশপ্রেম। ভারতীয় লোকটি মনে করে আমি এদেশে এসেছি টাকা উপার্জন করে আমাদের দেশে পাঠানো জন্য জন্য, এদেশে ফোন করে উপার্জিত টাকাগুলো এই দেশে রেখে যাওয়ার জন্য নয়! দিস ইজ দেশপ্রেম। একজন নাগরিকের বোধে, জাগরণে, চেতনায়, মননে এমন দেশপ্রেম থাকা চাই।

দেশপ্রেমের কথা যখন আসলো তখন আর না বলে পারলাম যে- ‘বাঙালির দেশপ্রেম কেবল দেশি মুরগির বেলায়’ বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। কারণ বাঙালিরা ইন্ডিয়ার থ্রি-পিস, শাল আর রকমারি কাপড় পড়ে, চকলেট খায়, মুভি ও চ্যানেল দেখে, চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া যায় শুধু মুরগি খাইতে গেলে তখন দেশি মুরগি খোঁজে।

সাম্প্রতি ইন্ডিয়া বিদ্বেষের বিষয়টি আমার কাছে ঐ দেশি মুরগির দেশপ্রেমের মতোই মনে হয়েছে। দেখুন, ভারত আমাদের আমাদের মিত্র রাষ্ট্র কি-না সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মিত্র রাষ্ট্র তাহলে কারা? জাপন, চীন, রাশিয়া, আফগান, মালয়েশিয়া, আমেরিকা কি আমাদের মিত্র রাষ্ট্র? না কেউই মিত্র রাষ্ট্র নয়। ভূ-রাজনীতি আর বাণিজ্যিক কারণে পারস্পরিক সমঝোতায়  বিভিন্ন দেশের সাথে দেশের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। পাকিস্তান আমাদের শোষণ করেছে। নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে ত্রিশ লাখ (বিকর্তের প্রয়োজন নেই) শহীদের জীবনদানের মধ্য দিয়ে শোষক পাকিস্তানের কাছ থেকে আমরা স্বাধিনতা ছিনিয়ে এনেছি। তারপরও কিন্তু পাকিস্তানের সাথে কমবেশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিলো। একটা দেশের ভূ-রাজনীতিক দৃষ্ঠিভঙ্গীতে এগুলো থাকা লাগে। এখন দেখুন, আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য বা স্বাধীনতার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ এবং আমাদের নিরীহ জনগণকে আশ্রয় দিয়ে বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছে। ভারত তার ভূ-রাজনীতিক স্বার্থে এই সহযোগিতা করেছে একথা নিরেট সত্যি হলেও আমরা কি তা অস্বীকার করতে পারবো? করা কি উচিত? না, কখনোই নয়। আবার একারণে ভারতের কাছে আমাদের নতি স্বীকার করারোই কোনো কারণ নাই। কিন্তু কথা হচ্ছে ভারত অন্যান্য দেশগুলোর মতো কেবল ভূ-রাজনীতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপার আমাদের কাছে নয়। ভারত আমাদের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশি। অন্যকোনো দেশের সাথে যুদ্ধ বাঁধলেও নিকটতম প্রতিবেশির আশ্রয় আর সহযোগিতা ছাড়া উত্তরণ সম্ভব নয়। তাই বলে আমাকে আবার ভারতের দালাল হিসেবে চিহ্নিত করতে যাবেন না যেন! ভারত একটি রাষ্ট্র তার সাথে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত সেটা নিয়ে আমাদের দেশের আরো গভীরভাবে ভাবনার দরকার আছে বৈকি! ধরুন- ইন্টেরিম সরকারও কিন্তু ভারতের সাথে মুলামুলি করার ভাবসাব দেখিয়েছে কিন্তু এখনো ভারত থেকে চাল-ডাল-পিয়াজ সহ কত কিছু আনতে হচ্ছে। তাদেরকে আম আর ইলিশও পাঠানো হয়! তারমানে কি? মানে হলো প্রতিবেশিকে এড়িয়ে ভালো থাকা যায় না!

যাক প্রতিবেশির সাথে সম্পর্ক কেমন হবে সে ভাবনা দেশের হর্তাকর্তারা ভাববেন। আমি বরং কথা বলি সহকর্মী বা স্বপেশাজীবির অধিকার নিয়ে। আলোচনার বিষয় লেখক সাংবাদিক বিভুরঞ্জন। কেন বিভুরঞ্জনরা আসে...?  কেনইবা চলে যায়...? লেখক, সাংবাদিকদের জীবন যাপন সাধারণ আর দশটা পেশাজীবির মতোন হয় না! কেন হয় না- তার কোনো জবাব নাই! লেখক জীবনের পরতে পরতে কষ্ট থাকে, হতাশা থাকে। কারণ লেখালেখি তো এদেশে কোনো পেশায় পরিণত হতে পারেনি! লেখকরা তো লেখেন রাষ্ট্রের কল্যাণে। কিন্তু রাষ্ট্র তো লেখকের দায় নেয় না! যদি সে সত্যানুসন্ধানী লেখক হয়- তার দশা তো আরো খারাপ হয়! 

সাংবাদিকতা পেশা তো আর দশটা পেশার মতো নয়। এটা যেন জীবনময় চ্যালেঞ্জ! লেখক তার দৃষ্টিতে যা দেখেন- তার গল্প রচনা করেন। কিন্তু এদেশে তো কারো বিপক্ষে গেলেই (তুই রাজা...) পক্ষে গেলেই (তুই ফ্যাসি... দোসররর)! আদালত তো এখন বিচারালয় নয়! বিবেক তো এখন বিচারালয় নয়! এখন বিচারালয় হচ্ছে- সামাজিক মাধ্যম!

বিভু দা চলে গেলেন। কেন গেলেন? কীভাবে গেলেন? এসব নিয়ে তুলকালাম চলবে, পক্ষে-বিপক্ষে ট্যাগ লাগানো চলবে- এদেশে এমনটাই স্বাভাবিক ঘটনা।  বিভুরঞ্জন একজন লেখক এবং সাংবাদিক। তার মাঝে সত্তা দুটি। দুটি সত্তাই দেশের জাতীয় স্বার্থে নিবেদিত ভূমিকায়। লেখক-সাংবাদিকদের মর্যাদাকে নষ্ট করেছে কারা? কোনো ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই, কোনো ক্ষেত্রে নষ্ট ও নোংরা রাজনীতি? রাজনীতি একটা বড় কারণ! রাষ্ট্র ব্যবস্থা একটা বড় কারণ! রাষ্ট্র কেন পেশার স্বকীয়তা ও সম্মান নিশ্চিত করতে পারেনি! এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। রাষ্ট্র যেহেতু রাজনীতির দ্বারা চলে সেহেতু এটা রাজনীতির ব্যর্থতা! আমাদের দেশের বর্তমান অচলাবস্থা- ৫৪ বছরে সবচেয়ে নিন্দিত, ঘৃণিত রাজনৈতিক ব্যর্থতার নজির। নিকৃষ্টতম উদাহরণ! কারণ একটা দেশের রাজনীতি যখন ব্যর্থ হয়- তখন রাষ্ট্র তার গতি হারায়। ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আর এরফলে জনগণের জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগের দুর্যোগ!

প্রশ্ন হলো- তাহলে ৫৪ বছর দেশের রাজনীতিবিদগণ কি করলেন? বিভু দার চলে যাওয়াটা একটা নিছক ঘটনা নয়। সাংবাদিকতা ও লেখালেখির পেশাজীবিদের জীবন সংগ্রাম সম্পর্কে জাতিকে একটা টোকা দিয়ে গেলেন মাত্র! এতে কি জাতি সজাগ হবে? কত বড় বড় ধাক্কা খেয়ে এ জাতি জেগে উঠেনি! ক্ষণিকের জন্য উঠলেও আবার বিভক্তির চূড়াবালিতে হারিয়ে যায়! যে দেশের পেশারিত্ব নষ্ট হয়ে গেছে পেশাদারদের অনৈতিকতার কারণে, আর যার পেছনে কাজ করেছে অসভ্য নষ্ট রাজনীতি!

কেন একজন সাংবাদিককে দলীয় লেজুরবৃত্তি করতে হবে- এর জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা দায়ী! কেন একজন সাংবাদিকের জীবনে পেশাগত হতাশা আসবে? কেন একজন সাংবাদিক বা লেখক তার প্রাপ্যটুকু পাবেন না! সাংবাদিকরা কেন নিয়মিত বেতন পান না? কেন বেতন বৃদ্ধি হয় না! কেন ওয়েজবোর্ড অনুসারে বেতন পান না! কেন পেশাগত পলিটিক্স হয়! কেন লেখকরা তাদের রয়্যালিটি পাননা? কেন পত্রিকায় লেখা ছাপা হলে সন্মানী পান না? তাহলে কেন দেশে এতসব সাংবাদিক সংগঠন? কেন এত প্রেসক্লাব? কেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট? কেন পিআইবি? কেন প্রেস কাউন্সিল? এতসবের কি দরকার আছে? সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়নে কি ভূমিকা তাদের? এসব নিয়ে গভীর ভাবনার সময় এখন। দেশ সংস্কারের আগে মানসিকতার সংস্কার দরকার।

কিয়েক্টাবস্থা- এখন কেউ কিছু বললেই প্রতিক্রিয়া জানায়Ñ ১৫ বছর কোথায় ছিলেন? জনাব- আপনি/আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন? আপনি এমনকি করেছেন দেশের জন্য যে এখন ফাটায়া ফেলতেছেন! সবাই দেখি ইতিহাসবিদ, বুদ্ধিজীবি হয়া গেছেন- এইসব দেইখ্যা ১৫ বছরের সন্তান জানতে চায় আব্বু এই দেশের ভবিষ্যত কী!

দেশ একটা অস্থিতিশীল অবস্থায়- যে যার মতো করে চলতেছে। দেশটা মনে হয় ফেরেশতারা চালাচ্ছেন! বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য- ইতিহাস নিয়েও গন্ডগোল পাকায়! মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে-মাঝপক্ষে কতরকম যে অবস্থান জনগণের! মনে হয় সবাই ইতিহাসবিদ! বুদ্ধিজীবি! বিচারক! মনেহয়- সক্কলে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন অথবা সচক্ষে দেখেছেন! প্রজন্মের একটা অংশ চেতনাবিলুপ্ত অবস্থায়!  কেবলমাত্র ক্ষোভ, আক্রোশ আর ভিন্ন দলমতের কারণে যার যা মন চাচ্ছে- সে তাই বলছে, করছে! কারণ-অকারণ নাই, যুক্তি-অযুক্তি নাই, সত্য-মিথ্যার বিচার-বিবেচনা নাই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার এত উদার স্বাধীনতা আর কোনো খানে নাই! 

লাখো লাখো টন সাদা পাথর হাওয়া হয়ে যায়! আবার এগুলা খুঁজে পাওয়া যায়। কারা করে এইসব কাজ! সেদিন রাস্তায় শুনে আসলাম, একজন বলতেছে- একদল দেশ বেচে ভারতের কাছে, একদল দেশ বেচে আম্রিকার কাছে, একদল চায় পাকি ভাইদের আবারো মিলেমিশে থাকতে? এইসব দেইখ্যা মনে হয় দেশের জনগণের কোনো চাওয়া নাই! তাদের চাওয়ার কোনো মূল্য বা গুরুত্ব নাই! 

সর্বোচ্চ জনসমর্থন পাওয়া সরকার কী করতেছে! একজন উপদেষ্টারও কথাবার্তার ঠিকঠিকানা নাই! বাচ্চাদের মতো কথা বলতেছে, মন্ত্রণালয় চালাচ্ছেন! মনে হয় তারা ইন্টেরিম গর্ভমেন্টে ইন্টারনিশিপ করতেছেন! আশ্চর্য কান্ডকারখানা! সংস্কার করতে পারলে করে দেখান। বিচার করতে পারলে করে দেখান। না পারলে নির্বাচন দেন। জনগণ তাদের ভাগ্যকে বেছে নিক। যাহা আছে নছিবে- আপনা আপনি আসিবে...জোড় করে মন করোনা হরণ...এই গানের মতোই বাঙালি জাতির ভাগ্যদশা। 

আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের জন্য নির্দেশনা দিলেন আবার অন্য দেশে সাক্ষাৎকারে বলেন- সংস্কার আর বিচার ছাড়া নির্বাচন হলে দেশ আবারো ফ্যাসিজমে ফিরে যাবে। ফ্যাসিজম কোনো ব্যক্তি নয় জনাব। ফ্যসিজম একটা সিস্টেম! আস্কারা! পারলে সিস্টেম ভাঙ্গেন। কিন্তু আপনারা তো শুরুতেই ভুল করেছেন। প্রতিশোধ আর প্রতিহিংসার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন! নিজেদের আখের গোচাচ্ছেন! এই জন্যই কি আপনাদেরকে বসানো হইছে। দেশের কোটি কোটি নিরীহ জনগণ এখন ট্যাগের ভয়ে আছে- কিন্তু কেন? কি পরিবর্তন আনলেন আপনারা!

দেশটারে কারাগার ঘোষণা করেন- পারবেন? অবৈধ সম্পদ, অর্থ উদ্ধার করেন, পারবেন? এখন যারা দুর্নীতি করতেছে- তাদেরকে জেলে ভরেন, পারবেন? আমি লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি, জামাত-এনসিপি-গণফোরাম-ডান-বাম যে দলেরই হোক জেলে ভরেন- পারবেন? সেনাবাহিনী সঙ্গে নিয়েও কেন পারছেন না জানতে দেশ-জনতা!

পরিবর্তনের ডাকে একটা অভ্যুত্থান হলো- দুর্নীতি কি কমেছে? অনিয়ম কি কমেছে? এ কেমন স্বাধীনতা ভোগ করতেছে জনগণ যে- কথা বললেই ট্যাগ করা হইতেছে! অথবা যে যার মতো করে বলছে, চলছে, করছে...! 
একটি দেশ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে দেশের মা-ভাই-বোন-বাবার আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত গর্বের স্বাধীন দেশে আমরা বার বার বলছি - ‘আমরা কি এমন স্বাধীনতা চেয়েছিলাম!’ আর চব্বিশের পট-পরিবর্তনের মাত্র এক বছরে আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি- ‘এই পরিবর্তনের জন্য কি জনগণ মাঠে নেমেছিলো!’ কোন দিকে যাচ্ছে দেশটা...ঈমান-বিবেক-বুদ্ধি খাটান, ভাবেন, সঠিক অবস্থান নিন। সত্যের পক্ষে কথা বলুন। দেশটা আমাদের সবার। সবাই মিলে করি যদি চেষ্টা, ভালো থাকবে দেশটা।

এস এম মুকুল: লেখক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক। 

আজকালের খবর/আরইউ








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
তিন দিন এগোল রাকসুর ভোট
রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
দুঃখপ্রকাশ করলেন ডিএমপি কমিশনার, তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের পরিচালনায় উডব্লক ছাপচিত্র কর্মশালার সমাপণী
আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখে সুনাম কুড়িয়েছে পুলিশ সদস্য রিটন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
গাজীপুরে বিএনপি নেতা আল আমিনের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ
বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
সংস্কারে আর ছাড়ের পক্ষে নয় বিএনপি
মধুখালীর বিভিন্ন জলাশয়ে ৩৩৫ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft