
পরিবেশবান্ধব ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ‘পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, সবুজ ভবিষ্যৎ: টেকসই উন্নয়নে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে আয়োজিত এই সময়োপযোগী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ প্রায় ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী।
সকাল ১১টায় আইকিউএসি’র সেমিনার রুমে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. নাসরীন আক্তার আইভী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ রায়হান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ডঃ মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।
প্রশিক্ষণে বক্তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনের ক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্বাগত বক্তব্যে আইকিউএসি’র পরিচালক বলেন, এই প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শেখার উদ্দেশ্যে নয়, বরং এটি আমাদের আচরণগত পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর ডঃ মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের চিত্রসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর দিকসমূহ উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজকের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি একটি সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াস। পরিচ্ছন্নতা এখন কেবল রূপকার নয়, বরং এটি স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত।
তিনি আরও বলেন, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ শিক্ষাকে পাঠ্যসূচির গণ্ডি ছাড়িয়ে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ উপযোগী করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বক্তব্য শেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখার শপথ পাঠ করান।
এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষণাগার থেকে শুরু হয় এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রা, যা ছাত্রী হল গেট সংলগ্ন স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রা শেষে উপাচার্য নিজ হাতে একটি নতুন ডাস্টবিন স্থাপন করেন। পরে ক্যাম্পাসের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যায়ক্রমে ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা জানান, তারা এই প্রশিক্ষণ থেকে যে জ্ঞান ও প্রেরণা পেয়েছেন তা ব্যক্তি জীবন, পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে সচেষ্ট হবেন।
আজকালের খবর/ওআর