বারি’র পরিচালক ড. ফারুক আহমেদ
প্রকাশ: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম

সবজি চাষে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও অংশগ্রহণমূলক গবেষণার সম্প্রসারণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-এর উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সবজি বিভাগের আয়োজনে আজ রবিবার গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো কৃষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর।
বারি’র সবজি বিভাগের গবেষণা মাঠে অনুষ্ঠিত এই সফরে গাজীপুর অঞ্চলের ৫০ জন টমেটো চাষি অংশগ্রহণ করেন। কৃষকদের সরাসরি গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ফলন, গুণমান ও বাজার সম্ভাবনা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে এই সফরের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বারি’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সবজি বিভাগ) ড. একেএম কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. ফারুক আহমেদ। এছাড়াও বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র ও বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবার রহমান সেলীম।
প্রধান অতিথি ড. ফারুক আহমেদ বলেন, উন্নত টমেটো জাত সারাবছর উৎপাদন, পুষ্টি ও কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কৃষকদের সঙ্গে গবেষণার এই প্রত্যক্ষ সংযোগ প্রযুক্তি গ্রহণে গতি আনবে এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নেবে।
তিনি আরও বলেন, টমেটো একটি উচ্চমূল্যের ফসল। বছরের বিভিন্ন মৌসুমে উৎপাদন উপযোগী জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাজারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব, যা একদিকে ভোক্তার জন্য মূল্য সহনীয় রাখবে, অন্যদিকে কৃষকের লাভ নিশ্চিত করবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নভেম্বর ২০২২ থেকে অক্টোবর ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘ডেভেলপমেন্ট অব ভেজিটেবল ব্রিডিং টেকনোলজি ইন এশিয়া রিজিওন (এএফএসি আই)’ শীর্ষক প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ল্ড ভেজিটেবল সেন্টার (সাবেক এভিআরডিসি) থেকে সংগ্রহ করা হয় ৪৩টি টমেটো জার্মপ্লাজম লাইন। গবেষণার মাধ্যমে ইতোমধ্যে উদ্ভাবন ও অবমুক্ত করা হয়েছে দুইটি উচ্চ ফলনশীল জাত-বারি টমেটো-২২ এবং বারি টমেটো-২৩। এই জাত দুটি কৃষকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে এবং মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে।
বর্তমানে ৬টি ওপেন পলিনেটেড (ওপি) লাইন ও ১২টি সম্ভাবনাময় হাইব্রিড লাইন নিয়ে চলছে পরীক্ষামূলক চাষ। কৃষকরা নিজ চোখে এসব লাইন পর্যবেক্ষণ করে তাদের মতামত প্রদান করবেন, যা ভবিষ্যতে জাত অবমুক্তকরণ প্রক্রিয়াকে তথ্যসমৃদ্ধ ও কৃষকবান্ধব করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষকরা বলেন, বারি’র এমন আয়োজন তাদের বাস্তব জ্ঞান ও উদ্ভাবনী চাষ পদ্ধতি শেখার একটি দুর্লভ সুযোগ এনে দিয়েছে। তারা আরও বেশি করে গবেষণায় যুক্ত হতে আগ্রহী বলে মত প্রকাশ করেন।
আজকালের খবর/ওআর