প্রকাশ: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আনুকূল্যের অভাবে বন্ধ থাকার পর বর্তমান সরকারের বিশেষ আগ্রহে ১৯ বছর পর ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানটি আবারও শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এর অনুমোদন দেয় বলে জেনারলেন ম্যানেজার নুরুল আজম নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ১৫ আগস্ট থেকে অনলাইনে নতুন কুঁড়ির রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। পুরো দেশকে ২০ অঞ্চলে ভাগ করে বাছাই চলবে। সেখান থেকে বিজয়ীরা যাবে মূল প্রতিযোগিতায়। আয়োজন সম্পন্ন হবে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে।
একক অভিনয়, দলীয় অভিনয়, লোকনৃত্য, উচ্চাঙ্গ নৃত্য, দেশাত্মবোধক গান, নজরুলসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতি, ছড়া আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, গল্প বলা, হামদ ও নাথ বিষয়ে ‘ক’ ও ‘খ’ শাখায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ‘ক’ শাখার প্রতিযোগীদের বয়সসীমা ৬ থেকে ১০ এবং ‘খ’ শাখার ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৫ বছর।
এ ব্যাপারে জি এম বলেন, বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার বিশেষ আগ্রহে বন্ধ হওয়া অনুষ্ঠানটি শুরু করতে যাচ্ছি। সুষ্ঠুভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয় প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আশা করছি আমরা তাদের নির্দেশনায় আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।
নতুন কুঁড়ি হচ্ছে শিশু শিল্পীদের জন্য বাংলাদেশী রিয়েলিটি টেলিভিশন প্রতিযোগিতা যেটি মুস্তফা মনোয়ারের হাত ধরে ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল। তখন স্বল্প পরিসরে সরাসরি সম্প্রচার করা হতো। তখন মুলত শিশু/কিশোরদের মেধা অনুসন্ধান কার্যক্রম বলতে যা বোঝায় সেই ররকম কার্যক্রম হিসেবে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ১৯৭৬ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিশেষ নির্দেশে বিটিভিতে মোস্তফা মনোয়ারের নির্দেশনায় নতুন কুঁড়ি নামে জাতীয় টেলিভিশন প্রতিযোগিতা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিলো কবি গোলাম মোস্তফার কিশোর নামক কবিতা থেকে। যার প্রথম পনেরো লাইন অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনী থিম সং হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার চলে। সে সময় এই অনুষ্ঠানের তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল। গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি ও অন্যান্য শিল্পকলার প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করেছে এই অনুষ্ঠান।
২০০৬ সালের পর সরকারি আনুকূল্যের অভাবে অনুষ্ঠানটির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।
আজকালের খবর/আতে