প্রকাশ: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৩৮ পিএম

দীর্ঘ বিরতির পর স্টেজ শোতে ফিরছেন দেশীয় সংগীতের চিরসবুজ তারকা কুমার বিশ্বজিৎ। একমাত্র ছেলে নিবিড়কে নিয়েই কানাডার হাসপাতালে বছরখানেক ধরে আছেন শিল্পী। সেখানে সঙ্গে তার স্ত্রীও আছেন। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টায় নিবিড় এখন আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ। তাই কুমার বিশ্বজিৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তিনি এবার স্টেজ শোতে ফিরবেন। একজন সংগীতশিল্পীর বড় আনন্দের জায়গা, ভালো লাগার জায়গা হলো স্টেজ। স্টেজে দাঁড়িয়ে শ্রোতা-দর্শককে গান শোনাতেই একজন শিল্পীর বেশি ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা পেতেই কুমার বিশ্বজিৎ স্টেজ শোতে ফিরছেন। আগামী ২৩ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে একটি স্টেজ শোতে সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ স্টেজ শোতে ফিরছেন। এরপর একে একে আগামী ২৪ ও ৩০ আগস্ট এবং ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার আরও পাঁচটি স্টেটে সংগীত পরিবেশন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন কুমার বিশ্বজিৎ।
তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, আমার ছেলে নিবিড় যখন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়, সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত সারা পৃথিবীর আনাচকানাচে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে আমি আমার ছেলের জন্য যে ভালোবাসা পেয়েছি, যে দোয়া পেয়েছি, তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশের নয়। প্রতিনিয়ত তারা নানা মাধ্যমে আমার ছেলের খোঁজ নিয়েছেন। তারা আমার ছেলের জন্য যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তাতে সত্যিই মুগ্ধ আমি। তো সেই মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে, ভালোবাসা জানাতে আমি তাদের সামনে আবার গানে গানে হাজির হচ্ছি। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে গান তো শোনাবই, সেইসঙ্গে আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করতে চাই। কারণ, ঈশ্বরের অসীম কৃপায় আর মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় নিবিড় এখন বেশ খানকিটা সুস্থ। সে যেন দ্রুত পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারে—এই দোয়া চাই আমি। যারা আমাকে অস্ট্রেলিয়াতে পরপর পাঁচটি শো করার সুযোগ করে দিচ্ছেন, তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’
কুমার বিশ্বজিৎ প্লে-ব্যাক করার জন্য বেশ কয়েকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে তার যে অবদান, সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি আগামীতে একুশে পদকেও ভূষিত হবেন—এমন আশাবাদও অনেকের। কারণ শুধু গায়ক হিসেবেই নয়, একজন সুরকার হিসেবেও তার বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিন বছর আগে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল কুমার বিশ্বজিতের আত্মজীবনীমূলক বই ‘এবং বিশ্বজিৎ’।
শিল্পী বলেন, ‘এই বইটি প্রকাশ হওয়ার পর আমার মনে প্রায়ই কিছু চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল—জীবনে আমি এমন কী করেছি, যার জন্য আত্মজীবনীর মতো মহৎ কিছুর প্রয়োজন? সংগীতে আমার আসলে কতটা অবদান আছে? আমার মনে হয় সংগীতে আমার অবদান খুব কম। তবুও, আমার জীবনের অনেক ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে এই বইতে, যা আমি আমার দীর্ঘ যাত্রায় রেখে এসেছি। ‘এবং বিশ্বজিৎ’ মূলত আমার জীবনের অপঠিত পৃষ্ঠাগুলো খুলে দেওয়া।
আজকালের খবর/আতে