প্রকাশ: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৩২ পিএম

হাত-পা থরথর করে কাঁপছিল বিদ্যা বালানের। গলা শুকিয়ে আসছিল। কত গ্লাস যে পানি খেয়েছিলেন সেই সময়, তা আজ আর মনে নেই বিদ্যার। তবে মনে আছে, হৃদস্পন্দন, নিজের কানে শুনতে পারছিলেন।
তবুও সাহস জোগাড় তো করতেই হবে। বিপরীতে নাসিরউদ্দিন বলে কথা। হঠাৎই ঘড়ির দিকে তাকালেন বিদ্যা। রাত তখন প্রায় ১২টা।
নিজেকে একটু সামলে নিলেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঠিক করে নিলেন পোশাক। হাত বুলিয়ে নিলেন চুলে। তারপরই হোটেল রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে সোজা নাসিরের কাছে।
নাসিরকে সামনে পেয়ে, বিদ্যা বললেন, একটু আমার রুমে আসবেন...।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে বিদ্যা ঠিক এভাবেই সেই রাতের বিবরণ দিচ্ছিলেন। যখন একই হোটেল রুমে নাসির আর তিনি। সামনে রাখা একটা টেবিল। আর টেবিলের উপর ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবির সেই দৃশ্যের স্ক্রিপ্ট, যা দেখে খুবই নার্ভাস ছিলেন বিদ্যা। কেননা, নাসিরউদ্দিন শাহের সঙ্গে প্রথমবার কাজ।
এই পডকাস্টে বিদ্যা জানালেন, ডার্টি পিকচারের এই অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুট নিয়ে আমি খুবই টেনশনে ছিলাম। আসলে, বিপরীতে নাসিরজির মতো অভিনেতা থাকায় টেনশনটা আরও তিনগুণ হয়েছিল। পরে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। প্ল্যান করি, শুটিংয়ের আগের দিন রাতে নাসিরজিকে আগে থেকে ডেকে একটু প্র্যাকটিস করে নিই। তাহলে হয়তো টেনশন কমবে। নাসিরজিও আমার কথা শুনে রাজি হয়ে যান। সেই রাতে বহুবার দুজনে সংলাপ বলেছি। দৃশ্যের মহড়া দিয়েছি। নাসিরজি যদি সেদিন আমার রুমে না আসতে রাজি হতেন, তাহলে দৃশ্যটা হয়তো অভিনয় করতেই পারতাম না।
আজকালের খবর/আতে