
দেশের অন্যতম শিল্পনগরী গাজীপুর-যেখানে প্রতিদিন লক্ষ মানুষের ঘাম ঝরে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য। অথচ এই শহরের নাগরিক সেবা, অবকাঠামো উন্নয়ন, সুশাসন ও মানবিক প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অভাব এখন নাগরিকদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়। ঠিক এই সময়েই গাজীপুরের মানুষ নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছে-এমন এক নেতৃত্ব, যিনি শুধু রাজনৈতিক দল নয়, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন বলেই বিশ্বাস করা যাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছেন একজন পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও দীর্ঘ ত্যাগে পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ-আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. মেহেদী হাসান এলিস। সম্প্রতি তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ সোস্যাল হিউম্যান রাইটস কমিশন কর্তৃক ‘গুণীজন স্বর্ণপদক ২০২৫’ সম্মাননায় ভূষিত হন। তার এই প্রাপ্তি কেবল একটি সম্মাননা নয়, বরং একজন জনদরদী, মানবিক ও রাজনীতিতে নীতিবান নেতৃত্বের প্রতি মানুষের আস্থার প্রকাশ।
অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস বিএনপির রাজনীতির একজন দীর্ঘস্থায়ী সৈনিক। তিনি ছিলেন-গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ছিলেন জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং গাজীপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
বর্তমানে তিনি গাজীপুর সদর মেট্রো থানা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছে ছাত্রদলের ব্যানারে। এ থেকেই স্পষ্ট হয়, তার রাজনৈতিক পথচলা কোনো পদলেহী বা আরামপ্রিয় ধারায় নয়, বরং সংগ্রাম, ত্যাগ ও নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা। তার রাজনীতিতে নেই কোনো দুর্নীতির অভিযোগ, নেই কোনো জনবিচ্ছিন্নতা। বারবার কারাবরণ, রাজনৈতিক হামলা ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও তিনি নীতির প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি। একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে, তিনি শুধু দল পরিচালনায়ই নয়, তৃণমূল কর্মীদের মাঝে আস্থা ও শক্তি সঞ্চারেও সফল। এলিস শিক্ষাজীবনে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী রানী বিলাসমণি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নটরডেম কলেজ এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। আইন পেশায় সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও, তিনি পেশাকে বাণিজ্যিকভাবে নয়, ন্যায়ের সহযোদ্ধা হিসেবে ব্যবহার করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে নারী ও শিশু অধিকার, ইভটিজিং, শিশুশ্রম বিরোধী আন্দোলন, এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্নে তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।
বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক, দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষ মনে করছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে আজ প্রয়োজন একজন স্বচ্ছ, সাহসী এবং জনবান্ধব নেতার।
একজন রাজনৈতিক কর্মীর ভাষায়-আমরা দক্ষিণের মুখ দেখে হতাশ হয়েছি। বারবার যারা এসেছেন, তারা গাজীপুরের অভ্যন্তরীণ বাস্তবতা বুঝেননি। এবার গাজীপুরের মাটি থেকে উঠে আসা একজন পরীক্ষিত নেতাকে দরকার-যার হৃদয়ে গাজীপুরবাসীর প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। এলিস হল সে মানুষ।
গাজীপুরের সিটি করপোরেশনকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন হবে-একদলীয় নয়, জনগণকেন্দ্রিক প্রশাসন উন্নয়নে স্বচ্ছতা, শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন, নাগরিক সেবা ও অবকাঠামোগত পরিকল্পনা, রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে গিয়েও জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মানসিকতা। এই প্রত্যাশাগুলোর সাথেই মেলে অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস-এর রাজনৈতিক দর্শন ও অভিজ্ঞতা।
এলিস বলেন, আমি যত পদক সম্মানে ভূষিত হয়েছি-এই সম্মাননা শুধু আমার একার নয়। এটি গাজীপুরবাসীর, আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের এবং প্রতিটি সাধারণ মানুষের, যারা ন্যায় ও মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি গাজীপুরের মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
গাজীপুরের মানুষ আজ রাজনৈতিক ক্লান্তি ও উপেক্ষায় অভ্যস্ত। সেই ক্লান্তি ভাঙতে হলে, জনমনের মেরামত করতে হলে প্রয়োজন এমন একজন নেতা, যিনি শুধু কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী।
অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস-তার সততা, দক্ষতা, মানবিকতা ও নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে একটি স্বচ্ছ, মানবিক ও উন্নয়নমুখী নগরীতে রূপান্তর করতে সক্ষম হবেন-এমনটাই মনে করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
আজকালের খবর/বিএস