
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সুদৃঢ় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে এখন ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আর এই গণজোয়ারের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি, সোনাতলা উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সোনাতলা উপজেলা বিএনপির ৪ বারের সভাপতি, সোনাতলা পৌরসভার সাবেক প্রশাসক, সোনাতলা উপজেলা পরিষদের ২ বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বগুড়া-১ বিএনপির সর্বশেষ এম পি প্রার্থী এ.কে.এম.আহসানুল তৈয়ব জাকির।
তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, বরং এই অঞ্চলের মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। দলের দুঃসময়ে যিনি আগলে রেখেছেন নেতাকর্মীদের, পাশে থেকেছেন মিথ্যা মামলার শিকার নির্যাতিত পরিবারগুলোর, সেই ত্যাগী নেতা আজ রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে আলোচিত মুখ।
বর্তমানে এ.কে.এম আহসানুল তৈয়ব জাকির প্রতিদিন মাঠপর্যায়ে ছুটে চলেছেন সোনাতলা ও সারিয়াকান্দির গ্রাম থেকে গ্রামে, হাট থেকে বাজারে, ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়নে। তিনি যেখানে যাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পরিণত হচ্ছে গণজোয়ারে। তিনি শুধু সভা-সমাবেশ করছেন না, বরং মানুষের উঠানে বসে কথা বলছেন, চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে তাদের অভাব-অভিযোগ শুনছেন, মসজিদ প্রাঙ্গণে বসে কথা বলছেন স্থানীয় প্রবীণদের সঙ্গে। এমন সরাসরি সংযোগ কেবল একজন প্রকৃত জনগণের নেতার পক্ষেই সম্ভব।
দলের দুঃসময়ে যখন অনেকেই পিছু হটেছিলেন, তখন এ.কে.এম আহসানুল তৈয়ব জাকির ছিলেন মাঠে। আন্দোলন-সংগ্রামে, জেল-জুলুমের শিকার নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনার খরচ দিয়েছেন নিজের পকেট থেকে, পাশে থেকেছেন তাদের পরিবারগুলোর। বারবার কারা নির্যাতিত এই নেতা সোনাতলা উপজেলা বিএনপির ১৮৬টি রাজনৈতিক মামলা পরিচালনা করেছেন। এই মানবিকতা, ত্যাগ আর রাজনৈতিক সততার জন্যই আজ তিনি তৃণমূলে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নাম।
তিনি নিজের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে আত্মপ্রচারে ব্যস্ত হননি বরং বিএনপির প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন দিনরাত। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল—সহ সব ইউনিটে তিনি নতুন প্রাণ ফিরিয়ে এনেছেন। তার নেতৃত্বে এখন সোনাতলা-সারিয়াকান্দিতে বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভা, পথসভা—প্রতিটি কার্যক্রমে তিনি জনগণকে বিএনপির একত্রিশ দফা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মিশনের কথা বলছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, এ.কে.এম আহসানুল তৈয়ব জাকির নেতা নন, তিনি পরিবারের একজন। তিনি কখনো কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। গরিব-দুঃখী, দিনমজুর, কৃষক কিংবা শিক্ষার্থী—সবাই তার কাছে যান পরামর্শ নিতে, সাহস পেতে। তিনি মানুষের সুখে-দুঃখে সবার আগে পৌঁছে যান। এটাই একজন প্রকৃত জননেতার পরিচয়, যা তিনি বহু আগেই অর্জন করেছেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এবং তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী একত্রিশ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ.কে.এম আহসানুল তৈয়ব জাকির নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার রাজনৈতিক চিন্তা হলো—সংগঠন শক্তিশালী হলে আন্দোলন সফল হবে, আর আন্দোলন সফল হলে জনগণ ফিরে পাবে তাদের ভোটাধিকার, অধিকার ও স্বাধীনতা।
আজ সোনাতলা-সারিয়াকান্দি জনগণের হৃদয়ে, মুখে মুখে একটাই কথা—ধানের শীষ মানেই এ. কে.এম আহসানুল তৈয়ব জাকির। এই নেতার নেতৃত্বেই তারা বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়, কারণ তিনি প্রমাণ করেছেন—তিনি নেতা হতে চান না, তিনি হতে চান মানুষের আশ্রয়। এই বিশ্বাস থেকেই ধানের শীষের পক্ষে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে তা আর কোনো প্রচারে নয়, বরং ভালোবাসার চেতনায় ভরপুর।
এ.কে.এম আহসানুল তৈয়ব জাকির এখন শুধু একজন নেতা নন, তিনি হয়ে উঠেছেন গণমানুষের চোখে আগামী দিনের প্রতীক—একটি মুক্ত, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রত্যাশা।
আজকালের খবর/ওআর