প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:২৩ পিএম

দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রুবেলের নবজাতক শিশু পুত্রকে দেখতে মিষ্টি নিয়ে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিগার সুলতানা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ২টায় দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামে শহীদ রুবেলের ৪ মাসের পুত্র সন্তান মো. আব্দুল্লাহ্ আল রায়ানকে দেখতে যান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- দেবীদ্বার ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন সরকার, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, রুবেলের চাচা মো. আবু তাহের, রুবেলের মা’ হাসনেয়ারা বেগম, স্ত্রী হেপি আক্তার ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
গত ৪ আগস্ট জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের সশস্ত্র অস্ত্রধারীদের গুলিতে দেবীদ্বার মাটিয়া মসজিদের পাশে পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আব্দুর রাজ্জাক রুবেল। রুবেল দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র। রুবেল কোম্পনীগঞ্জ- চট্টগ্রাম প্রান্তিক বাস সার্ভিসের চালক এবং পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের মৃত্যুর সময় এক পুত্র ও এক কণ্যা সন্তানের জনক ছিলেন এবং তার স্ত্রী তখন ৮ মাসের গর্ববতী ছিলেন। রুবেলের মৃত্যুর এক মাস ৬ দিন পর অর্থাৎ গত ৯ সেপ্টেম্বর আরো একটি পুত্র সন্তানের জনক হন। নবজাতকের বয়স আজ প্রায় ৪ মাস।
উপজেলা র্বিাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা শিশু পুত্রকে কোলে নিয়ে বলেন, এ শিশু তার বাবার স্নেহ আদর- ভালোবাসা এমনকি বাবা ডাক থেকেও বঞ্চিত হলো। রুবেলের স্ত্রী হলেন বিধবা। এ হৃদয় বিদারক ঘটনার শান্তনা দেয়ার ভাষা আমার নেই।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা ব্যাক্তিগত ভাবে শিশুটির জন্য শিশুর মা’ হেপি আক্তারের হাতে বস্ত্র এবং ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।
আজকালের খবর/বিএস