
মাউন্ট মঙ্গনুইয়ের বে ওভালে রবিবার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করে ১১০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এ মাঠে এটিই সর্বনিম্ন সংগ্রহ কোনো দলের। তবে বল হাতে স্বাগতিকদের চাপে ফেলেছে টাইগাররা।
৮.৩ ওভারে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে স্বাগতিকরা।
স্বল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। স্পিনার মাহেদী হাসানের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করেন সেইফার্ট। উইকেট রক্ষক রনি তালুকদার বল ধরে ভাঙেন উইকেট। ততক্ষণে ক্রিজের বাইরে সেইফার্ট।
টিভি আম্পায়ার রিপ্লে দেখে তাকে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। দ্বিতীয় ওভারে ১৬ রানে নিউজিল্যান্ড হারায় প্রথম উইকেট।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও কিউই শিবিরের হানা দেন মাহেদী। এবার তার শিকার ড্যারেল মিচেল।
উইকেট থেকে সরে মিড অফ দিয়ে বল উড়াতে চেয়েছিলেন মিচেল। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যাচ দেন সোজা শান্তর হাতে। ২৬ রানে নিউজিল্যান্ড হারায় দ্বিতীয় উইকেট। মামুলী পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশ ভালোই লড়াই করছে।
এরপর স্বাগতিক শিবিরে ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে যান পেসার শরিফুল।
অবশেষে দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পান তিনি। শরিফুলের ভেতরে ঢোকানো দ্রুতগতির বলে বোল্ড গ্লেন ফিলিপস। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি। ৩০ রানে নিউজিল্যান্ড হারায় ৩ উইকেট।
এরপর রান আউটে চতুর্থ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ক্রিজের মাঝে দুই ব্যাটসম্যানের সংঘর্ষে নন স্ট্রাইক প্রান্তে ফিরতে পারেনি মার্ক চ্যাপম্যান। মুস্তাফিজের বল কভারে পাঠিয়ে দুই রান নেওয়ার জন্য দৌড় দেন অ্যালেন। ডাবল হয়ে যেত। কিন্তু দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে অ্যালেন ও চ্যাপম্যান ক্রিজের মাঝে সংঘর্ষে পড়েন। আঘাত পান অ্যালেন। নন স্ট্রাইক প্রান্তে ফিরতে পারেননি চ্যাপম্যান। আফিফের থ্রো থেকে বল পেয়ে মুস্তাফিজ ভাঙেন উইকেট।
এবার ফিন অ্যালেনকে বোল্ড করেন শরিফুল ইসলাম। তার ভেতরে ঢোকানো বল মিস করে বোল্ড অ্যালেন। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো অ্যালেনকে আউট করলেন শরিফুল। ৩১ বলে ২৮ রান করে অ্যালেন বোল্ড হলেন। তার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল আঘাত করে স্টাম্পে। তাতে বাংলাদেশ পেয়ে যায় পঞ্চম উইকেটের স্বাদ।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ স্যান্টনার-সোধির ঘূর্ণিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার চার বল আগেই সফরকারীরা ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায়। উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ কেবল শান্ত’র ১৫ বলে ১৭ রান। এছাড়া তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে ১৬ এবং আফিফ হোসেন ১৩ বলে ১৪ রান করেন। এছাড়া বলার মতো রান পাননি কেউই।
কিউইদের হয়ে ১৬ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন স্যান্টনার। এছাড়া সাউদি, মিলনে ও সিয়ার্স প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। কেবল সোধি উইকেট না পেলেও, নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন তিনি।
আজকালের খবর/এসএইচ