প্রাকঃভমণ বন্ধুদের সঙ্গে গলফ ক্লাবে অন্যানের সঙ্গে শবনম।
এক সময় তিনি তুমুল ব্যস্ত। ডায়রির পাতায় মিলিয়ে চলতো তার পা যুগল। সেই চঞ্চলতা এখন কেবলই স্মৃতির পাতায়। গত দুই দশক ধরে তার অখণ্ড অবসর। লাইট-ক্যামেরা আর সহকর্মীদের সেই কলকাকলি নেই। তবু খোঁজে চোখ সেই আড্ডা, আয়োজন। ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে সম্ভব হয় না জ্যাম পেরিয়ে শৈশবের কর্মস্থলে যাওয়ার। সেখানেও সমবয়সী সহকর্মীদের অনুপস্থিতি হৃদয় হু হু করে ওঠে। আর তাই নিয়ম করে প্রাতঃভমণকেই বেছে নিয়েছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম।
মুঠোফোনে শবনম বলেন, এখন আর চাইলেই দূরে যেতে পারি না। সময়টাও খারাপ। তাই বাড়ির কাছের গলফ ক্লাবে গিয়েছিলাম আমরা দশজন প্রাতঃভমণকারী বন্ধুরা। ওখানে আমরা সকলে মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিজেদের মতো সময় কাটিয়েছি।
তিনি বলেন, ইচ্ছে ছিলো বছরের শেষদিনে সকলে একত্রিত হবো, কিন্তু নানা ধরনের বিধিনিষেধের কারণে কালকের চড়ুইভাতি আজকেই শেষ করলাম। সময়টা বেশ ভালো কাটলো।
নতুন বছরে দেশবাসী ও ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শবনম বলেন, আমাদের সকলের উচিৎ এখন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া। খাদ্য নিয়েও সচেতন হওয়া। শরীর ঠিক না থাকলে ভালো কিছু অর্জন করা যায় না। তেমনি সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশ ছাড়া হৃদয়ে কোমলতা আসে না। ভক্তদের বলবো সিনেমা হলে এসে সিনেমা দেখুন। নতুন নির্মাতাদের উৎসাহ দিন। একদিন এরাই বিশ^মানের সিনেমা আমাদের উপহার দেবে।