
ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ অভিনেতা শাকিব খানের সন্তানদের মা চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এবং শবনম বুবলী। মাতৃত্বের সঙ্গে সঙ্গে দুজনেই এখন প্রাক্তন। ভেঙেছে শাকিব-অপু-বুবলী রসায়নও! তাই বলে থেমে নেই এই দুই প্রাক্তনের পর্দায় রোমান্স। তারা দুজনেই চুটিয়ে কাজ করছেন। এরমধ্যে বুবলী চরিত্র ভিন্নতা অনুযায়ী কাজ করে দর্শক সমাদৃত হয়েছেন। আপন আলোয় ইতিমধ্যে দেশের শীর্ষ চিত্রনায়িকার তকমাও নিজের করে নিয়েছেন। অপরদিকে মুটিয়ে যাওয়া শরীর নিয়ে অপু বিশ্বাস মাঝে বি, সি গ্রেডের সিনেমায় অভিনয় করে সমালোচিত হয়েছেন। তবে পেশাদার অপু খুব দ্রুত নিজেকে ফিরে পেতে নিয়মিত জিম শুরু করলে ফিটনেস লড়াইয়ে পচিশের রূপে ফিরেন। পেশাদার নায়িকাশূণ্য জায়গাটি এখন এই দুই সতীনের মধ্যে খুঁজে পাওয়ায় নির্মাতারা ঝুঁকছেন। নায়করাও জুটি হিসেবে শাকিবের দুই প্রাক্তনে আস্থা রাখছেন। তাদের একজন গুণী অভিনেতা আব্দুন নূর সজল।
জানা গেছে, রাশেদা আক্তার লাজুকেবর পরিচালনায় ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন আব্দুন নূর সজল। ছবিটিতে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন শবনম বুবলী। এরপর চলতি মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হতে যাচ্ছে অভিনেতার নতুন সিনেমা ‘দুর্বার’-এর কাজ, যেখানে প্রথমবারের মতো তার বিপরীতে থাকছেন অপু বিশ্বাস।
পরিচালক ও শুটিং অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সজল বলেন, ‘তিনি অসম্ভব যত্ন নিয়ে সিনেমাটি করেছেন। শেরপুরের বর্ডার এলাকার একটি গ্রামে শুটিং করেছি। সম্প্রতি শেষ লটের শুটিং শেষ করেছি। পরিচালক যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই কাজ করেছি।’
বুবলীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সজল বলেন, ‘বুবলী ভীষণ সিনসিয়ার। মনেই হয়নি যে আমরা প্রথমবার একসঙ্গে সিনেমা করছি। বোঝাপড়াটা খুব ভালো ছিল। কাজের প্রতি সে অনেক দায়িত্বশীল।’
অন্যদিকে প্রথমবার অপু বিশ্বাসের বিপরীতে কাজ করতে যাচ্ছেন সজল। ‘দুর্বার’ সিনেমাটি পরিচালনা করবেন কামরুল হাসান ফুয়াদ।
সজল বলেন, ‘দুর্বার একটি থ্রিলার সিনেমা। এতে অনেক চমক আছে। আশা করছি, দর্শকদের ভালো লাগবে।’
অপু বিশ্বাস সম্পর্কে সজলের মন্তব্য, ‘অপু বিশ্বাস অনেক সিনেমা করেছেন, তার অভিজ্ঞতা অনেক। চুক্তির পর আমরা রিহার্সাল করেছি। তিনি ভীষণ আন্তরিক। সংলাপ ডেলিভারি খুব ভালো বোঝেন। খুব সহযোগিতা-পরায়ণ, আর তার জানার জায়গাটা অনেক বড়।’
তিনি আরো জানান, অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ‘দুর্বার’-এর শুটিং দিয়েই তার বছরের কাজ শেষ হবে। পাশাপাশি আরো তিনটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।
সজলের ভাষায়, ‘আশা করছি, ২০২৬ সাল হবে সিনেমার বছর। তাড়াহুড়া নেই। যে চরিত্রে ভিন্নতা আছে, গল্পে নতুনত্ব আছে সেসব কাজই করতে চাই। দিন শেষে ভালো কাজ নিয়ে থাকতে চাই।’
আজকালের খবর/আতে