
উন্নয়ন কাজ দ্রুত না হলে সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপিক) অফিসেই ঘুমাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আমরা আঙুল বাঁকা করতে জানি। আমরা তাদের ছাড়ব না।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরের সিটি পয়েন্টে গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেন। ফটকে তালা ঝুলানোয় ভেতরে আটকা পড়েন জেলা প্রশাসকসহ অন্য কর্মকর্তারা।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এটা লোক দেখানোর, নেতা হওয়ার কোনো আন্দোলন নয়। আমরা শান্তিতে থাকতে পারব না, সুস্থভাবে যাতায়াত করতে পারবো না, গ্যাস, বিদ্যুৎ পানিও পাবো না ঠিকমতো; এসব অনেক হয়েছে, আর হতে দেওয়া হবে না। আমাদের ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে।
সিলেটের সাবেক মেয়র বলেন, আমরা রোহিঙ্গা নই, সিলেট রোহিঙ্গা ক্যাম্পও নয়। অনেক রাজনৈতিক নেতা দাবি করেন, এই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো লাভে নেই। সত্য কথা হচ্ছে, তারা তাদের স্বার্থের জন্য এসব কথা বলেন। এসব কথা যারা বলেন, তারা উন্নয়ন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তারা দেখে না চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনায় ঠিকই উন্নয়ন কাজ চলছে, বরাদ্দও হচ্ছে। কিন্তু সিলেটে হচ্ছে না।
এই আন্দোলন এমন থাকবে না। সিলেট থেকে আওয়াজ উঠলে সারা দুনিয়ায় পৌঁছায়। সারা দুনিয়ায় যেখানে সিলেটিরা আছে তারা শিগগিরই এই আন্দোলনে যুক্ত হবেন। সিলেটিরা অধিকার আদায়ের জন্য একে আন্তর্জাতিক আন্দোলন করে তুলবেন।
সিলেটের প্রতি বৈষম্য এবং সড়ক ও রেলের বেহাল দশার প্রতিবাদে সর্বস্তরের জনতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিলেট আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ইস্যুতে নগরের কুমারপাড়া এলাকার নিজ বাসভবনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আরিফুল হক চৌধুরী।
ওই সভা থেকে সিলেট অঞ্চলের ন্যায্য দাবি আদায়ে ‘সিলেট আন্দোলন’ নামে একটি সর্বজনীন প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়। এতে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ধর্মীয় ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা যুক্ত হয়েছেন। যার প্রতিফলন ঘটলো আজ রোববার গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
আজকালের খবর/বিএস