প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:১৭ পিএম				
				
			 
					
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে পঞ্চগড়সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ছিল পানির গভীর সংকটে। বৃষ্টির অভাব এবং দীর্ঘ দুর্ভিক্ষ মানুষকে কষ্টের অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছিল। সেই সময়ে এক মহান মনীষীর মানবিক উদ্যোগই ছিল আশার আলো। 
কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর পানীয় জলের তীব্র সংকট নিরসন এবং প্রজাদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য এক অনন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার কেন্দ্রস্থলে প্রায় চার একর বিশাল এক জমিতে খাদ্যের বিনিময়ে প্রজাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে খনন করা হয় একটি বিশাল দিঘি। এই দিঘির নাম রাখা হয় ‘রাজার দিঘি’, মহারাজার নামানুসারে। শুধু পানির সংরক্ষণই নয়, একই সঙ্গে ছিল মানুষের জীবন রক্ষার চেষ্টা। দুঃসময়ের এই মহাপ্রয়াস পঞ্চগড়ের হাজার হাজার মানুষের জীবন যাত্রাকে স্বস্তি এনে দিয়েছিল।
বর্তমানে রাজার দিঘি পঞ্চগড়বাসীর কাছে ঐতিহাসিক সম্পদ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। এটি একদিকে যেমন প্রাকৃতিক জলাধার, তেমনি অন্যদিকে মানুষের সহযোগিতা ও ঐক্যের প্রতীক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজার দিঘির মতো উদ্যোগ আজকের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সংকট মোকাবেলায় এক অমূল্য পাঠ। সেই সময়কার মহারাজার মানবিক চিন্তা ও সেবার দৃষ্টিভঙ্গি আজও প্রাসঙ্গিক ও প্রশংসনীয়।
আজকালের খবর/ওআর