নওগাঁর বদলগাছীতে যেন চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে । গলার কাঁটার মতো আটকে আছে এ অপরাধের অভিশাপ।শুধু বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয় মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি এমনকি আইনের রক্ষক পুলিশ সদস্যের বাড়িও রেহাই পায়নি এই চক্রের হাত থেকে। এতে স্থানীয়দের মাঝে অনিশ্চিত এক ভীতির সঞ্চার হয়েছে ।
গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের কাষ্টডোব গ্রামে তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য আবু সাঈদ ও মাছ ব্যবসায়ী এমদাদুল হক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে চোরের দল প্রথমে পুলিশ সদস্য আবু সাঈদের বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকতে না পারলেও বাইরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে যায় তারা। এরপর চোরেরা মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে হাঁড়ি, পাতিলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে। একই সময় মাছ ব্যবসায়ী এমদাদুল হকের বাড়িতেও চুরির ঘটনা ঘটে।
আবু সাঈদের মা শামীমা আক্তার বলেন, চোরেরা সম্ভবত প্রাচীর টপকিয়ে ঘরে ঢুকেছিল। আমরা তখন ঘুমে ছিলাম, কিছুই টের পাইনি। সকালে উঠে দেখি বেশ কিছু জিনিস নেই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম জানান, রাতে ঘরের দরজা খোলা ছিল। চোরেরা যখন রাইস কুকার নিচ্ছিল, তখন আমি জেগে উঠি এবং চোরকে পেছন থেকে ধরার চেষ্টা করি। কিন্তু সে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে এমদাদুল হক বলেন, রাত তিনটার পর ঘুম থেকে উঠে দেখি বড় পাতিল, গামলা, বালতি কিছুই নেই। পরে জানতে পারি পাশের দুই বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইদানীং এলাকায় চুরির সংখ্যা বেড়ে গেলেও রাতের পুলিশি টহল কার্যত অনুপস্থিত। তারা প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।
বদলগাছী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, “একই রাতে তিনটি চুরির ঘটনার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। চোরদের শনাক্তে অভিযান চলছে, দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
আজকালের খবর/ এমকে