প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:১০ পিএম

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের অদ্যবধি ১৯৩ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বয়স্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৮জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। প্রতিদিনেই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। অথচ সচেতনতা বৃদ্ধিতে নেই কোন কার্যক্রম। স্যালাইন ও ঔষধ সংকট।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছি না। স্যালাইন ও বিভিন্ন ওষুধ বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড জুড়ে ভর্তি আছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা। এছাড়াও ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে ওয়ার্ডের বাইরের করিডোরের মেঝেতেও রোগীদের স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। এসময় কথা হয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী উপজেলার খুরশিমূল গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র মাছুম (৩০) এর সাথে। তিনি বলেন, গত দুইদিন আগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। এখন দেখি হাসপাতাল জুড়েই শুধু ডায়রিয়া রোগী। অপর রোগী শেওড়াতলী গ্রামের ১০মাস বয়সী শিশু সাফায়েতের মা তাসলিমা আক্তার জানান, ৬ দিন ধরে আমার ছেলে সাফায়েত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। শিশুর বমি ও পাতলা পায়খানা বন্ধ হচ্ছে না। কিছুতেই ভালো হচ্ছে না। এখন দুইদিন ধরে চিকিৎসা ও স্যালাইন পাইনি। এখনও শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালেই আছি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ মুশফিকুর রহমান বকুল জানান, চলতি অক্টোবর মাসে এ পর্যন্ত ১শ ৯৩ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। তবে স্যালাইন ও ঔষধের সংকট রয়েছে। চাহিদা দিলেও মিলছে না ঔষধ ও স্যালাইন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনুল ইসলাম জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তবে স্যালাইন ও ওষুধের কিছুটা সংকট রয়েছে।
আজকালের খবর/বিএস